নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীনতা যুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য অবদানের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা গেরিলা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমি সবসময় বলি, আমার মা ছিলেন সবচেয়ে বড় গেরিলা। তিনি গোপনে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতেন, দিকনির্দেশনা দিয়ে আসতেন। রাজনীতিতে ব্যাপক সক্রিয় থাকলেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম মুজিবের কর্মকান্ড কখনো আঁচ করতে পারেনি।
গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২১ প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এবারই প্রথম বঙ্গমাতার জন্মদিনটি জাতীয়ভাবে পালিত হয় এবং স্বাধীনতার পর এই প্রথম এই মহীয়সী নারীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের জন্য বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন নারী ব্যক্তিত্বকে বঙ্গমাতা পদকে ভূষিত করা হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের জীবনবৃন্তান্ত অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী পদক বিজয়ীদের হাতে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২১’ তুলে দেন। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ বছর পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ পদকটি এবার থেকে নারীদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে। পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৪০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, ৪ লাখ টাকার চেক, সার্টিফিকেট এবং উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এখন থেকে প্রতি বছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিনে এই পদক দেওয়া হবে। অনুষ্ঠান থেকে নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা অনুযায়ী ৬৪ জেলার ৪ হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার নারীকে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ নগদ টাকা বিতরণ কার্যক্রম গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র পরিবেশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সারা জীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে প্রেরণা জুগিয়েছেন। আমাদের বাড়িতে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও হয়েছে। ৬ দফা ছেড়ে অনেক নেতা চলেও গেছেন। আমার মা তখন খুব শক্ত ছিলেন ৬ দফার পক্ষে। দেশবাসীর সামনে প্রশ্ন রেখে আবেগাক্রান্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, যে জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবনের সব সুখ, শান্তি বিলিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনে দিলেন- তাঁকে সেই বাঙালিই কোন অপরাধে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করল? কেন এই হত্যাকান্ড? কী অপরাধ ছিল আমার বাবার, আমার মায়ের, আমার ভাইদের? যাঁরা নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করলেন, সমস্ত জীবনের সুখ, শান্তি সবকিছু বিলিয়ে দিলেন, একটা জাতির স্বাধীনতার জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। তাঁদেরকে সেই বাঙালিই খুন করল, কেন?’ অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা বলতে গিয়ে আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ায় তখন তার মনে সব থেকে আগে আসে নিজের জীবন বাঁচানো এবং নিজের জীবন ভিক্ষা চাওয়া। কিন্তু আমার মা (বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব) খুনিদের কাছে নিজের জীবন ভিক্ষা চান নাই। তিনি নিজের জীবন দিয়ে গেছেন। আমার আব্বাকে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু) যখন হত্যা করল সেটা যখন তিনি দেখলেন, তখনই তিনি (বঙ্গমাতা) খুনিদের বললেন যে, তোমরা উনাকে (বঙ্গবন্ধু) মেরেছ, আমাকেও মেরে ফেল।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওই সময় খুনিরা আমার মাকে (বঙ্গমাতা) বলেছিল আমাদের সঙ্গে চলেন। তখন খুনিদের মা সাফ বলে দেন, তোমাদের সঙ্গে আমি যাব না, তোমরা এখানেই আমাকে খুন কর। ঘাতকের বন্দুক গর্জে উঠেছিল, সেখানেই আমার মাকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে।’ বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, কতটা সাহস একটা মানুষের মনে থাকলে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবন ভিক্ষা না নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারেন। আজকে আমাদের দেশের নারীসমাজ যে একটা জায়গা খুঁজে পেয়েছে, সেখানে আমি মনে করি আমার মায়ের এই কাহিনি শুনলে অনেকেই অনুপ্রেরণা পাবেন। শক্তি ও সাহস পাবেন দেশের জন্য, জাতির মঙ্গলের জন্য কাজ করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সবসময় প্রেরণা জুগিয়েছেন আমার মা (বঙ্গমাতা)। তিনি কখনো সামনে আসেননি, কখনো কোনো মিডিয়ার সামনে যাননি, কখনো নিজের নামটা ফলাতে চাননি। তিনি নীরবে পাশে থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার বাবাকে সহযোগিতা করে গেছেন, সমর্থন দিয়ে গেছেন। আমি মনে করি সব থেকে বড় ত্যাগ তিনি স্বীকার করে গেছেন। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসীম ধৈর্য, সাহস ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে এটাই বলতেন যে, সংসার নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না, চিন্তা করতে হবে না। আমাদের কথা ভাবতে হবে না। তুমি দেশের কাজ করছ, দেশের কাজই করো, দেশের কথাই চিন্তা করো। যখনই আমার বাবা বারবার কারাগারে গেছেন, আমার মা কিন্তু সবসময় তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। কারাগারে গিয়ে সব সময় তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) সেই কথাগুলো বলতেন।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব একদিকে সংসার সামলেছেন, অন্যদিকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো যেন সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নেওয়া যায় তার ব্যবস্থাও করেছেন। প্রত্যেকটা আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। তিনি জানান, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পাকিস্তানি গোয়েন্দারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সবসময় রিপোর্ট দিত। ওই রিপোর্টগুলো প্রকাশ করার সময় তিনি দেখেছেন, সেখানে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কোনো রিপোর্ট নেই। যদিও তাঁর মা ছিলেন রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ও গোপনে দলের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে গোপনে দলের লোকজনের সঙ্গে দেখা করা, ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া এবং সেখানে তিনি (বঙ্গমাতা) তাঁর পোশাক পরিবর্তন করতেন। একটা বোরকা পরে তারপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে পলাশীর মোড়ে বা আজিমপুর কলোনিতে আমাদের কোনো আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করা, তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়ে আবার ফিরে এসে তিনি আমাদেরকে নিয়ে বাসায় ফিরতেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের বাড়িতে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও হয়েছে। ৬ দফা ছেড়ে অনেক নেতা চলেও গেছেন। আমার মা তখন খুব শক্ত ছিলেন ৬ দফার পক্ষে। ৬ দফা আন্দোলনেও বঙ্গমাতা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে তিনি (বঙ্গমাতা) যে কতটা সচেতন ছিলেন- সেটা বড় মেয়ে হিসেবে কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ৬ দফা না ৮ দফা, এটা নিয়ে ওই সময় নেতারা নানা কথা বলতেন। কিন্তু সেই সময় ৬ দফা থেকে একচুল, দাঁড়ি-কমাও এদিক-ওদিক যাবেন না, এটাই ছিল তাঁর (বঙ্গমাতা) সিদ্ধান্ত। আমার মা বুঝেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ৬ দফার একটি দাঁড়ি, কমাও বদলাবে না। আর সেটাই আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে পাস হয়েছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতার সহচর হিসেবে বঙ্গমাতা এক হাতে যেমন সংসার সামলেছেন, তেমনি অনেক সময়োচিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন। একদিকে সংসার সামলানোর পাশাপাশি স্বাধীনতার জন্য প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে এই দলকে বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ যেন সবসময় সঠিক পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতে পারে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সমস্ত তথ্য বাবার (বঙ্গবন্ধু) কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং জেলখানায় থাকা বাবার কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে এসে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো কাজগুলোও তিনি (বঙ্গমাতা) গোপনে করেছেন। এভাবেই তিনি তাঁর পুরো জীবনটাকে উৎসর্গ করেন আমার বাবা যে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেই আদর্শের কাছে। বঙ্গমাতা আজীবন অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন উল্লেখ করে তাঁর কন্যা সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, কখনো রাজনৈতিক নেতা হতে হবে, রাজনীতি করে কিছু পেতে হবে- সেই চিন্তা কখনো তাঁর (বঙ্গমাতা) ছিল না। সম্পদের প্রতিও তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না। এভাবেই নিজের জীবনকে তিনি গড়ে তুলেছিলেন। জাতির পিতার পাশে থেকে সবসময় প্রেরণা জুগিয়েছেন আমার মা। এটাই সব থেকে বড় ত্যাগ স্বীকার বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য যারা ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২১’ পেয়েছেন তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী এ বছরই প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন এবং ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদান করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গমাতা, সংকটে-সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’ যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বামীর কাছে মানুষের নানা ধরনের চাহিদা বা আকাক্সক্ষা থাকে। অনেক কিছু পাওয়ার থাকে। আমার মায়ের (বঙ্গমাতা) বাবার (বঙ্গবন্ধু) কাছে কোনো কিছুর চাহিদা ছিল না। তিনি সবসময় বলতেন, তুমি দেশের কথা চিন্তা করো, আমাদের কথা ভাবতে হবে না। আমার মায়ের যে অবদান রয়েছে, এ দেশের রাজনীতিতে শুধু না, বাংলাদেশের মানুষের অগ্রগতিতেও তাঁর অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা বিশ্বাস করতেন প্রতিটি মেয়ের শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং আর্থিক সচ্ছলতা দরকার। খালি ‘অধিকার অধিকার’ বলে চিৎকার করলেই হবে না। অধিকার আদায় করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করে প্রতিটি মেয়েকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে- সেই উপলব্ধিতা তাঁর ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসনে বঙ্গমাতার নিজের গহনাগাটি সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ সময় মায়ের বই কেনা এবং বই পড়ার অভ্যাসের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মায়ের অভ্যাস ছিল বই কেনা। নিউমার্কেট থেকে তিনি বই কিনতেন। আমাদেরও নিয়ে যেতেন। আমার বাবা বারট্রান্ড রাসেলের বই ইংরেজি থেকে অনুবাদ করে মাকে শোনাতেন।
যারা পুরস্কার পেলেন : পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), জয়াপতি (মরণোত্তর), মোসাম্মৎ নুরুন্নাহার বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ)। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন। এ ছাড়া পদক বিজয়ীদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।