নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেশেই একদিন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি হবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক ফাইটার প্লেন, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার চায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী উন্নত দেশের বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শীতকালীন রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ-২০২১ এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যাশার কথা জানান। যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
এ সময় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে পালন করতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সামরিক কৌশলগত দিক বিবেচনায় জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অত্যাধুনিক, শক্তিশালী, পেশাদার ও চৌকশ বিমান বাহিনী গঠনের। সে লক্ষ্যে স্বাধীনতার পরপরই তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেছিলেন সে সময়ের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২১, হেলিকপ্টার, রাডারসহ নানাবিধ যুদ্ধ সরঞ্জাম। জাতির পিতা যে একাডেমির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই বাস্তব রূপ আজকের এই মিলিটারি একাডেমি, নেভাল একাডেমি এবং বিমান বাহিনী একাডেমি।
বিমান বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে থেমে যায় বিমান বাহিনীসহ বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। ১৯৯৬ সালে জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সে সময় আমরা বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিমান বাহিনীতে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ সংযোজন করি। যদিও এই মিগ-২৯ ক্রয় করতে গিয়ে আমার নামে অলৌকিকভাবে মামলা দেয়। আমি এটা পরোয়া করি না, মামলা মিথ্যা প্রমাণ হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, মহাকাশ গবেষণা, বিমান বাহিনীর উন্নয়ন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল সেক্টরকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্বাবিদ্যালয়।’ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেশেই একদিন বিমান, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি কমিশনপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর নতুন সদস্যদের অভিনন্দন জানান।