`আমরা দানাদার ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। এখন দেশের কোথাও ছনের ঘর নেই। সব টিনের ও পাকা ঘর হয়ে গেছে। আমরা এখন দেশকে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এজন্য দরকার কৃষির বহুমুখীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়ন। এতে লাভজনক হবে কৃষি।’
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর দিলকুশার কৃষি ভবনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি কোনো দিনই সম্মানজনক পেশা ছিল না। অভিজাতরা কৃষককে চাষা বলে গালি দিতো। দিন বদলেছে। কৃষি এখন অভিজাতদের পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক মেধাবী তরুণ পশ্চিমা দেশের উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে কৃষি কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং টেকসই কৃষির লক্ষ্য পূরণে মেধাবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। অন্য যেকোনো ক্ষেত্র থেকে দেশে কৃষির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান হবে, আয় বাড়বে। সে আয় দিয়ে মানুষ পুষ্টিসম্মত খাবার কিনে খেতে পারবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনায় কৃষিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। বিএডিসিকে ভেঙ্গে বেসরকারিকরণের প্রচেষ্টা চালায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে হয়তো বিএডিসি ভবনও থাকতো না।