নিউজ ডেস্ক:
- ২৪ ঘণ্টার সম্প্রচারে বিটিভি চট্টগ্রাম
প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তীতে চব্বিশ ঘণ্টার সম্প্রচারে গেল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্র। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ এ কেন্দ্রের দিবারাত্র সম্প্রচার উদ্বোধন করেন। বিশেষ আয়োজনে প্রচার করা হয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ^াসী। বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশপাশি দেশে ৪৫টি টেলিভিশন ২৮টি এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও পরিচালিত হচ্ছে, যার বেশিরভাগই আমাদের সরকার অনুমোদন দিয়েছে। আমরা জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করেছি। বর্তমানে দেশের সকল টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের এ পর্যায়ে উপনীত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি কেন্দ্রটির সম্প্রচার ১২ ঘণ্টা এবং ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি ১৮ ঘণ্টায় উন্নীত করি। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কেন্দ্রের সম্প্রচার কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টায় উন্নীত করা হচ্ছে। এই কেন্দ্র বর্তমানে স্যাটেলাইট টেরিস্টোরিয়ালসহ বিটিভি এ্যাপসের মাধ্যমে একযোগে অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সমাজ সংস্কারে টেলিভিশন বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ, বাল্যবিয়ে, যৌতুক প্রভৃতি সামাজিক ব্যাধি নির্মূলে টেলিভিশন মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশ শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র মানুষের চিন্তা ও মননে ইতিবাচক পরিবর্তনে কাজ করবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ^ব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশে পরিণত করব। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র আমাদের এই প্রয়াসে সঙ্গী হবে, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। রজতজয়ন্তীর এই শুভক্ষণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টায় উন্নীতকরণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, তা পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ১৯৭০ থেকে ৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। সেই পাকিস্তান আজকে মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক সূচকসহ সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকেও অতিক্রম করেছি।
তিনি আরও বলেন, আগে বাংলাদেশে শতকরা ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল, যা এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এগুলো আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংক আইএমএফসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের বক্তব্য, তাদের সমীক্ষায় এগুলো উঠে এসেছে। কিন্তু এসব বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব দেখতে পারেন না। দলকানা হওয়ার কারণে তিনি দেখেও দেখেন না, বুঝেও বোঝেন না এবং স্বীকার করেন না।