শনিবার , জানুয়ারি ১১ ২০২৫
নীড় পাতা / জাতীয় / আবারও সুবাতাস রেমিট্যান্সে

আবারও সুবাতাস রেমিট্যান্সে

নিউজ ডেস্ক:
আবারও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ (১.৮৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৩ শতাংশ কম।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চে পাঠানো রেমিট্যান্স গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে গত মার্চ মাসে ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

অবশ্য টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আগের দুই মাস ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাস (জুলাই-মার্চ) নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে রেমিট্যান্স। এই ৯ মাসে ১ হাজার ৫৩০ কোটি (১৫.৩০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে তারা পাঠিয়েছিলেন একহাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার (১৮.৫৯ বিলিয়ন) ডলার। এই হিসাবে জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ। গত বছরের মার্চ মাসে এই রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মার্চে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া মার্চ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৮ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা শুরুর পর রেমিট্যান্স প্রবাহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর পর থেকে অবশ্য মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড করতে দেখা যায়। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। অবশ্য চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান দেখা যায়। প্রথম মাস জুলাই মাসে প্রবাসীরা পাঠান ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে পাঠান ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে পাঠান ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে  আরও  কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে।

জানা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

প্রসঙ্গত, রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। গত জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে পানি খাওয়ার অজুহাতে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে যৌন নিপীড়ন, লম্পট গ্রেপ্তার 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে পানি খাওয়ার অজুহাতে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে যৌন নিপীড়ন ঘটনায় লম্পট গ্রেপ্তার …