নিউজ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মানুষকে টিকাদানে উৎসাহিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি ফের শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কীভাবে মডার্নার করোনা ভাইরাস টিকা দেয়া যায় সে বিষয়ে রবিবার সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত কম্প্রেহেনসিভ (লাইসেন্সিং/প্রি-রেজিস্ট্রেশন) পরীক্ষায় তেজগাঁওয়ের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।
স্কুল-কলেজে খুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, এমন সিদ্ধান্ত নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি এককভাবে এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না। আগামীকাল (রবিবার) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা আলোচনা করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ কীভাবে তৈরি করে স্কুল-কলেজ খোলা যায়, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি, চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং এবং পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং-এর কম্প্রেহেনসিভ (লাইসেন্সিং/প্রি-রেজিস্ট্রেশন) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রাজধানীর ছয় কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পরীক্ষায় মোট ১৫ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
এ ছয় কেন্দ্রের মধ্যে ইডেন মহিলা কলেজ আজিমপুর কেন্দ্রে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং-এর ৪ হাজার ১৫৩ জন, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ১ হাজার ১৪১ জন, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে ২ হাজার জন, সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১ হাজার ৩০০ জন, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ও শান্তিনগরে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারির ১ হাজার ৪৯৩ জন, বিএসসি ইন নার্সিং (চার বছর)-এ ১ হাজার ৩২৫ জন এবং পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং-এর ৪ জন এবং ঢাকা কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং-এর ৩ হাজার ২২৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।