বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলোচিত আসামি অমিত সাহাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। এর আগে দল থেকেও অমিতকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলায়ও তাকে রাখা হয়নি। হত্যার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
পরে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে ১৭তম ব্যাচের (আবরার ফাহাদের সহপাঠী) এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা মেসেঞ্জারে জিজ্ঞাসা করেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে? এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই অমিতকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের দাবি অনুসারে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
অমিত ছাড়াও বুয়েটের আরও ২৫ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েটের ডিএসডব্লিউ অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বুয়েট বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়, ওই ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। আবরার হত্যাকারণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুয়েট বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
আজীবন বহিষ্কৃত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জনই পুলিশের অভিযোগপত্র অনুযায়ী অভিযুক্ত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আরও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়। বহিষ্কৃতদের অন্তত ১১ জন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। অন্য আসামিরাও ছাত্রলীগের কর্মী বা সমর্থক ছিলেন।
আজীবন বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: অমিত সাহা, মেহেদী হাসান রবিন, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রাসেল, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান, মো. মুজাহিদুর রহমান, এহতেশামুল রাব্বী, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, অমর্ত্য ইসলাম, মো. মোর্শেদ ম-ল, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, মুজতবা রাফিদ, আশিকুল ইসলাম, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না ও এসএম মাহমুদ।
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হওয়া ৬ শিক্ষার্থী হলেন: নওশাদ সাকিব, সাইফুল ইসলাম, মো. গালিব, শাওন মিয়া, ইকবাল অভি ও মো. ইসমাইল।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৬ জনের মধ্যে আশিকুল ইসলামের নামে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়নি।