নিজস্ব প্রতিবেদক:
সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও রেলপথে আমদানিকৃত পণ্য খালাসের দাবিতে
দিনাজপুরের হিলিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীরা ও জনতা। এতে করে দেড়
ঘন্টা উত্তরবঙ্গের সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র গরমে ভোগান্তিতে
পড়েন দুটি ট্রেনের যাত্রীরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল
স্বাভাবিক হয়
আজ সোমবার বেলা ১১ টায় হিলি রেলওয়ে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি
গামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে অবরোধ করেন শত শত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ,
পরে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও স্টেশনে
অবরোধের মুখে পড়েন।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় ও রেলওয়ে শান্তাহার
জংশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান। পরে আগামী ২০ দিনের মধ্যে যাতা বিরতি
দেওয়া হবে এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতারা।
হিলি রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, হিলি রেলওয়ে স্টেশনের উপর দিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড়-রংপুর-
চিলাহাটি গামী প্রায় ১৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করে থাকেন। কিন্ত শুধুমাত্র
রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা বিরতি করে।
কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার জুই,পরশমনি, হাবিবা, রীতি
রানী জানান ,হিলি দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর, হিলি পোর্ট ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন
জায়গার মানুষ ভারতে চিকিৎসা,ব্যবসা, ভ্রমনের জন্য যায়। কিন্তু এখানে কোন আন্ত:নগর
ট্রেন না থামার ফলে জয়পুরহাট,পাঁচবিবি ও বিরামপুর স্টেশনটি ব্যবহার করতে হয়। তাই
এই ঐতিহ্যবাহী স্টেশনটি পুনরায় সকল আন্ত:নগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করার জোর দাবি
জানাচ্ছি।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রæপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী
জানান,১৮৪৫ সালের এই স্টেশনকে কেন্দ্র করে আজকের হিলি স্থলবন্দর গড়ে ওঠা, কিন্তু ২০০৮
সালের দিকে হঠাৎ করে আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করে। যার ফলে আমরা
ব্যবসায়ীরা ট্রেনে ভারতীয় পণ্য আপলোডের জন্য পাশ্ববর্তী বিরামপুর অথবা পাঁচবিবি
স্টেশনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে একদিকে সময় অপচয় অন্য দিকে সরকার হাজার হাজার
কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই দ্রæত আন্ত:নগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করার
জোর দাবি জানাচ্ছি।
সান্তাহার স্টেশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান জানান,আমি বিভাগীয় রেল
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এসেছি । আপনাদের দাবিগুলো আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে
হয়েছে। তিনি বলেন,আগামীতে রেলের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। সেই সময়
যোগকরা যাই কিনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।