আবুধাবির উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’। বিলাসবহুল ও বিশ্বসেরা এই বিমানটি আজ ২২ আগস্ট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় (বিজি-০২৭) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়বে গাঙচিল। অন্যদিকে বিমানের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে।
জানা গেছে, ২৫ জুলাই দেশে আসে ড্রিমলাইনার গাঙচিল। কোনও রকম যাত্রাবিরতি ছাড়াই সিয়াটল থেকে সরাসরি তা ঢাকায় এসে অবতরণ করে। এর মধ্যে দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি। ১২ সেপ্টেম্বর ৭৮৭ ড্রিমলাইনার রাজহংস যোগ হলে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬-তে।
গাঙচিল-এ আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্য আধুনিক সুবিধারসহ ইন্টারনেট ও ফোন কলের সুবিধা পাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এর সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি করে। এরমধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ কেনার কথা ছিল। চুক্তির আওতায় ধাপে ধাপে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানকে সরবরাহ করে বোয়িং। ১২ সেপ্টেম্বর চুক্তির আওতার সর্বশেষ ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ বিমানবহরে যোগ হবে।
বিমানের বহরে থাকা ১৫টি উড়োজাহজের মধ্যে ৯টি নিজস্ব, বাকি উড়োজাহাজগুলো বিভিন্ন মেয়াদে লিজে সংগ্রহ করা। বিমানের ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজের নাম রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দে। এগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খী, আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।