রুমিন ফারহানা- বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর রাখেন এমন কারো কাছে নামটি অজানা নয় বোধ করি। নানা কারণেই তিনি সমালোচিত। সমালোচকেরা মনে করেন, মূলত হাইলাইটে আসার জন্যে রুমিন সমালোচিত হতেই ভালোবাসেন! বিএনপির এই এমপি এর আগেও সমালোচিত হয়েছেন নানা কারণে, সাংসদ নির্বাচিত হবার পর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্লট বরাদ্দ চাওয়া, দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের গুজব! এবারে রুমিন ফারহানা আবারো তার ধৃষ্টতার রূপ দেখালেন লাইভ টিভি টকশোতে, দেশের বিচারালয় নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে। বিশ্লেষকরা এটিকে দেখছেন দুইভাবে, প্রথমত এটি দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতার এক অনন্য প্রমাণ, অন্যদিকে এটি আইন ও সর্বোচ্চ আদালতকে অশ্রদ্ধার শামিল। অনেকেই মনে করছেন এই ধরণের মন্তব্যের জন্যে রুমিন ফারহানার আইনের মুখোমুখি হওয়ায় উচিত।
জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভ টক-শো অনুষ্ঠানে আলোচনার সময় মহামান্য আদালত এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলমকে কটাক্ষ করে কথা বলেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আলোচনার সময় তিনি তার কথায় সুপ্রিম কোর্ট এবং মাহবুব আলম সম্বন্ধে নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ না দেখিয়ে যাচ্ছেতাই বলে যান। আলোচনার এক পর্যায়ে আদালতে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের উদ্ভট আচরণকে সমর্থন করেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও তিনি মনগড়া কিছু কথা বলেন।
তার এমন মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে আদালতপাড়ায়। তিনি নিজে একজন ব্যারিস্টার ও সাংসদ হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলে মাহবুব আলম এবং দেশের বিচারবিভাগ সম্বন্ধে এমন অবমাননাকর মন্তব্য করা শুধুমাত্র অ্যাটর্নি জেনারেলকে নয়, বাংলাদেশের আদালতকে এমনকি বাংলাদেশকেই অবমাননা করা বলে মন্তব্য করছেন বলছেন অনেকেই।
একজন আইনজীবী হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের ও উচ্চ আদালতের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধাবোধ না দেখিয়ে তার এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তাকে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন আইনজীবীরা।