নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আজ ৩০ শে মার্চ নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের
ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা
ঘোষণার মাত্র চার দিনের মাথায় ৩০ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে শত শত মুক্তিকামী মানুষ ছুটে
গিয়েছিলেন দুর্গম এই ময়না গ্রামে। এই দিনে ময়না গ্রামে
উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর সাথে
মুক্তিকামী জনতা, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ
যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ২৫ রেজিমেন্ট ধ্বংস হয় এবং
বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আসলাম হোসেন খঁাঁন ওরফে
রাজা খাঁন সহ ৮ পাকিস্তানী সেনা নিহত হয় এবং অর্ধশত
বাঙ্গালী যোদ্ধা শহীদ হন। এই ময়না যুদ্ধের সময় পাকসেনারা ৭
বাঙ্গালীকে ধরে নিয়ে ময়না গ্রামের একটি আমগাছের সাথে
বেধে নির্মম নির্যাতনের পর গুলি করলে ৭জন শহীদ হন। স্বাধীনতার
পর শহীদদের স্মরনে ময়না গ্রামে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মান
করা হলেও সেই আমগাছটি এখনও ব্রাশ ফায়ারের হাজারো গুলি
বুকে নিয়ে এক পায়ের উপরে ভর করে ‘জীবন্ত স্মৃতিসৌধ’হয়ে
দাড়িয়ে রয়েছে। প্রতি বছর এদিনটিকে ‘ময়না যুদ্ধ’ দিবস
হিসাবে পালন করা হয়। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি ময়না যুদ্ধ দিবস। ময়না যুদ্ধকে
বাংলাদেশের প্রথম সম্মুখযুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান সহ
এবং এই যুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ তৈরীর জন্য
প্রতিরোধকারী শহীদ ও আহত পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি
জানিয়েছেন।
