নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলিঃ
আজ হিলি ট্রেন ট্রাজেডি দিবস। ২৫ বছর আগে কনকনে শীতের রাতে হিলি রেলস্টেশনে দেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান ২৭ জন। তবে আজও আহত ও নিহতের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি। এমনকি আজও আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির সেই প্রতিবেদন।
১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রেল ক্রসিংয়ের উদ্দেশে স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি। সে সময়ের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে দু’টি ট্রেনের। এসময় দাঁড়িয়ে থাকা লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, ভয়াবহ সেই ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটি ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক যাত্রী। নিহতদের অনেকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে। পরে স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সহায়তায় লাশ উদ্ধারসহ আহতদের দ্রæত উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেসময় সরকারি ভাবে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন ঘোষণা করা হয়। আর আহতের সংখ্যা বলা হয় শতাধিক।
এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের উদ্যোগে কালো ব্যাচ ধারণ ও নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করে।