নিউজ ডেস্ক:
৭৫ এর ১৫ই আগস্ট থমকে যায় রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কর্মকান্ড। জেকে বসে সামরিক শাসন। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট থেকে ১৯৯০। স্বৈরাচার সামরিক শাসন হটাতে-বারবার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ। শত প্রাণের বিনিময়ে গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামে অন্যতম নাম, আওয়ামী যুবলীগের কর্মী, নুর হোসেন। আজ তার জীবন উৎসর্গের দিন। নুর হোসেন দিবস। পচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালো রাতের পর, সদ্যস্বাধীণ বাংলাদেশ নতুন আঙ্গীকে সামরিক শাসনের শৃংখলে আবদ্ধ হয়।
শুরু হয় স্বৈরশাসন। স্বৈরশাসনের ক্ষমতা দখলের পালাবদলে জিয়া থেকে ক্ষমতা নেয় দীর্ঘস্থায়ী অবৈধ শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রুদ্ধ হয় গণতান্ত্রিক চর্চা, ব্যাহত হয় নাগরিক জীবন ব্যবস্থা্। এরই মাঝে, বন্দী জনতা ধীরে ধীরে বের হয় রাজপথে, স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলিত হয় রাজধানীসহ সারাদেশ।
সাতাশির নভেম্বর তুঙ্গে ওঠে প্রতিবাদ। সিদ্ধান্ত হয় আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ই নভেম্বর ঘেরাও হবে স্বৈরশাসকের সচিবালয়। ভোরে মাকে ফিরে আসার ওয়াদা করে, ১০ই নভেম্বর, ছুটে যায় রাজপথে।
নুর হোসেনর মা জানান,’আমি বলি বাবা তুমি বুকে-পিঠে এগুলো লিখছো কেন? বলে এই একটু বল খেলি তাই লিখছি। যদি যাই তবে আমি পিছনে থাকবো। সামনে থাকবো না।
ফটো সাংবাদিক পাভেল রহমান জানান,’সব মিছিল জমা হচ্ছিল রাজপথে। আমি ছিলাম পুরানা পল্টন মোড়ে। দেখি সে সময় একটি ছেলে আমার গা ঘেঁসে এগিয়ে যায়। আমি তখন আমার ক্যামেরায় তার ছবি তুলতে থাকি।
মিছিল তখন জিরো পয়েন্ট মোড়ে । শুরু হয়, এরশাদের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিবর্ষণ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বেবিট্যাক্সি চালক নুর হোসেন। নুর হোসেনের সাথে, তপ্ত বুলেটে, প্রাণ হারায় আরো দুজন । সেই আত্মহুতির মধ্য দিয়ে নব্বই -এর ৬ই ডিসেম্বর পতন ঘটে স্বৈরশাসনের।