মঙ্গলবার , সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / আজ নাটোর মুক্ত দিবস

আজ নাটোর মুক্ত দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আজ ২১ ডিসেম্বর নাটোর মুক্ত দিবস। নাটোরের মানুষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের স্বাদ পায় ১৬ ডিসেম্বরের চারদিন পর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নাটোরে বড় ধরনের কোন লড়াই না হলেও একাধিক স্থানে চালানো হয় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পাক হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী, ফতেঙ্গাপাড়া, মোহনপুর, লালবাজার, কাপুড়িয়াপট্টি, শুকলপট্টি, মল্লিকহাটি, বড়াইগ্রামের বনপাড়া ক্যাথলিক মিশন, গুরুদাসপুরের নাড়িবাড়ি, সিংড়ার হাতিয়ান্দহ, কলম এবং লালপুর উপজেলার গোপালপুরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিল চত্বরে গণহত্যা চালায়।

৭১’এর ৪ জুন নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের গণহত্যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে পাকসেনাদের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হলেও নাটোরে এর চারদিন পর ২১ ডিসেম্বর বিজয় আসে। একাত্তরে নাটোর ছিল পাকসেনাদের ২নং সামরিক হেডকোয়াটার। তৎকালীন সিও অফিসে (বর্তমানের ইউএনও অফিস) পাকসেনাদের সামরিক হেডকোয়াটার স্থাপন করা হয়। ফলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে পাকসেনারা নাটোরে এসে জড়ো হতে থাকে।

নাটোর পিটিআই স্কুল, আনসার হল, রিক্রিয়েশন ক্লাব, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজ, নাটোর রাজবাড়ি, দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি চত্বরের (উত্তরা গণভবন) ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া পাকসেনারা মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করলেও নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি চত্বরে আত্মসমর্পনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ২০ ডিসেম্বর গভীর রাত পর্যন্ত। ফলে ২১ ডিসেম্বর নাটোর পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়।

আত্মসর্মপন অনুষ্ঠানে পাকসেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফ মিত্রবাহিনীর ১৬৫ মাউনটেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পন করেন। এদিন পাকিস্থাানি বাহিনীর ১৫১ অফিসার, ১৯৮ জন জেসিও, ৫৫০০ সেনা, ১৮৫৬ জন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য এবং ৯ টি ট্যাংক, ২৫ টি কামান ও ১০ হাজার ৭৭৩ টি ছোট অস্ত্র সহ আত্মসমপর্ন করে।

আরও দেখুন

সিংড়ায় ঝড়ে ভেঙ্গে পড়লো শতবর্ষী বৃক্ষ মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের শতবর্ষী গাছ বৃক্ষ মানিক আকর্ষিকঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। শতবর্ষী এই …