সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / আজ নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস

আজ নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
আজ ৫ মে উত্তরবঙ্গের ভারি শিল্প নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস। মিল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে। জানা যায়,১৯৭১ সালের এই দিনে  মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী সুগার মিল অবরুদ্ধ করে তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম সহ ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ শতাধিক বাঙালিকে ব্রাশফায়ার করে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

স্বাধীনতার পর শহীদদের সলিল সমাধির নীরব সাক্ষী গণহত্যা স্থলের পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ শহীদ সাগর ‘ । এছাড়া শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম সহ ৪২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামের তালিকা আছে। স্মৃতিস্তম্ভের সামনে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আর  মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম এর নামে আজিমনগর  রেলওয়ে স্টেশন নামকরণ করা হয়।লালপুর বাসীর জন্য এটি একটি শোকাবহ দিন।
মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সারাদেশে মিলের কল কারখানা বন্ধ থাকলেও হানাদার বাহিনীর নাটোর ক্যাম্পের মেজর শেরওয়ানি খানের আশ্বাসে এবং এলাকার আখচাষীদের স্বার্থ বিবেচনা করে মিলের তৎকালীন প্রশাসক লে. আনোয়ারুল আজিম মিলের উৎপাদন অব্যাহত রাখেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর মেজর তার ওয়াদার বরখেলাপ করে। পরে বর্বর পাকবাহিনী মিলের সবগুলো প্রবেশ পথের দরজা বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবরুদ্ধ করে এবং অবাঙালিদের যোগসাজশে শতাধিক বাঙালিদের শনাক্ত করে মিলের গোপাল পুকুর ( বর্তমান শহীদ সাগর) পাড়ে নিয়ে যায়। তাদের চোখ বেঁধে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে নির্মম ভাবে হত্যা করে লাশ গুলো ওই পুকুরের ফেলে দেয়। ওই দিনই হানাদার বাহিনী গোপালপুর বাজার এলাকায় আরো সাত জন বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে বলে জানা গেছে। 

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …