নিউজ ডেস্ক:
বগুড়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের মতে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮৩ হাজার হেক্টরের বদলে তা ২ লাখ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। পোকার আক্রমন, অকাল বন্যা বা অনাবৃষ্টি না হওয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হবে বলেও ধারনা কৃষি বিভাগের ।
এদিকে সাধারণত হেমন্তের অগ্রহায়ণ থেকে আমনের কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হলেও কৃষির উৎপাদন চক্রে ব্যাপক পরিবর্তন ও ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে বগুড়ায় কিছু কিছু এলাকায় কার্তিক মাস থেকেই শুরু হবে আগাম আমনের কাটা-মাড়াইয়ের কাজ।
বিশেষ করে বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ এবং নন্দীগ্রাম অঞ্চলে কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে পুরোপুরিভাবে আমনের আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। ফলে আগে কার্তিকের অলস বসে থাকার সময় ফুরিয়ে গেছে। নন্দীগ্রামের চাষি ফজলে রাব্বি তোহা জানান, আপাতত ধান কাটা মাড়াইয়ের বড়ো সমস্যাই হল শ্রমিকদের মজুরি। বিঘা প্রতি ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ এখন আড়াই তিন হাজার টাকা পড়ে যায়।
ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঝে মাঝেই কিছু কিছু ক্ষেতে সোনালি শীষের ছড়া বেরিয়ে পড়েছে। এদিকে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি যতই নেমে যাচ্ছে সেখানে পলি পড়া নরম জমিতে চাষিরা রোপন করছে বেশি বয়সী গাইঞ্জা জাতের ধানের চারা। মাঝ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে গাইঞ্জা ধানের চারা রোপনের কাজ। তবে দেরিতে লাগানো হলেও যেহেতু চারার বয়স বেশি, তাই আমনের সঙ্গেই কাটা-মাড়াই হবে গাইঞ্জা জাতের ধান।