নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
ভরা মৌসুমেও বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজার স্বাভাবিক রাখতে স্বল্প সময়ের দেশের ১০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৫ হাজার মেট্রিক চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন হিলি স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এর মধ্যে হিলির রেণু কন্সট্রাকশন ১৫ হাজার মে:টন, জয়পুর হাটের পাঁচবিবি উপজেলার হেনা এন্টার প্রাইজ ১০ হাজার মে: টন, নওগার ঘোষ অটো রাইস মিলস ১০ হাজার মে: টন। ইতিমধ্যে চাল আমদানির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে এবং সরকারের বেধেঁ দেওয়া সঠিক সময়ে চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতিনিধিরা।
আমদানিকারক রেণূ কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আলম হোসেন জানান, সরকারের শর্তবালি মেনে কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি আগামী সোমবার থেকে দেশে চাল আমদানি শুরু হবে। আর চাল আমদানি শুরু হলে এবং সঠিক সময়ে সরবরাহ করলে দেশের বাজারে দাম কমে আসতে শুরু করবে।
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, বন্দরের একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। তারা চাল আমদানির জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্ততি শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন বন্দরের অনান্য প্রতিষ্ঠানও চাল আমদানির জন্য আবেদন করছে। অন্য বন্দর গুলোতে আমদানি-রপ্তানি সকাল ৯ টায় শুরু হলেও আমাদের বন্দরে রাস্তার অভাবে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ভারতে প্রবেশের পর প্রায় সকাল ১১ পরে শুরু হয় পণ্য আমদানি।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু সর্কীণ রাস্তার কারণে যানযটের সৃষ্টি হয়, অন্য দিকে সরকার চাল আমদানিতে নিদিষ্ট সময় বেধেঁ দিয়েছে, তাই সঠিক সময় চাল আমদানি নিয়ে শংঙ্খলায় রয়েছি আমরা। সরকারের কাছে চাল আমদানির ক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানান।
এদিকে হিলির খুচরা বাজারে ২/১ টাকা প্রতি কেজিতে দাম কমেছে।