দেশে বেড়েই চলছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করে। মূলত সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি ও দাম কমে যাওয়ায় এর ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ বছরের জুলাই মাসের শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার। তার ঠিক এক মাস পরে (গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত) এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজারে। এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই নয়, দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে।
দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে এক মাসে ২০ লাখ গ্রাহক বাড়ার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা এও বলছেন, গত এক মাসে বা কিছু সময় আগে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। গ্রোথ একই রয়েছে, যা গ্রাহক বেড়েছে তার সবই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। গত জুন মাসে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৯ হাজার। এর আগের মাস তথা মে মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার।
দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪ এর মাধ্যমে দেশে ব্যান্ডউইথ আসছে ৪০০ জিবিপিএস। অন্যদিকে সেকেন্ড সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫ এর মাধ্যমে আছে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। অবশিষ্ট ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, দেশের ৬টি আইটিসি হলো—সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড, ফাইবার অ্যাট হোম, নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘আইএসপির মাধ্যমে বর্তমানে গ্রাহকরা ৯০০ জিবিপিএস’র মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন। আর মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা ব্যবহার করছে ৫০০ জিবিপিএস।’ যা রীতিমতো উল্লেখযোগ্য উন্নতি।