মাহমুদুল হাসান (মুক্তা):
নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার আঁখ চাষীরা ভালো নেই, তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ করেছে তারা। বর্তমান মহামারী করোন ভাইরাসের কারণে চাষীদের ইনকামের পথ প্রায় বন্ধের পথে। এরই মধ্যে আবার অতি বৃষ্টিতে ফুল জাতীয় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চাষীরা। অতিবৃষ্টির ফলে ফুলগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফল হচ্ছে না আবার যদি দু ‘একটি ফল হয় সেটিও আবার বৃষ্টির ফলে পচে যাচ্ছে। আবার অতিবৃষ্টির ফলে আগাম বন্যা আসার কারণে বেশকিছু চাষির নিচু জমির ফসল তলিয়ে গেছে এতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নলডাঙ্গা এলাকায় আখ একটি অর্থকরী ফসল। এই এলাকায় বেশ কিছু চাষী আখ চাষ করে। আখ গুলো নাটোর সুগার মিলস এ বিক্রয় বা সরবরাহ করে। আখ চাষীরা অভিযোগ করে বলেন, নাটোর সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ বছর চাষীদের আশ্বাস দিয়েছিল এই বলে যে, আপনার আখ মিলে বিক্রয় করুন ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই আখের দাম পরিশোধ করা হবে। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ সেই কথা রাখেনি বলে চাষীরা অভিযোগ করেছে।
চাষীরা আখ গুলো ৪ মাস আগে সুগার মিলস এ বিক্রি করেছে কিন্তু এখনো মূল্য বা টাকা পরিশোধ করেনি সুগার মিলস। আখের দাম না পাওয়ায় চাষীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চাষীরা আরো বলেন অন্যান্য ফসল যেমন আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা বাজারে নিয়ে বিক্রি করলে সাথে সাথে টাকা পাই কিন্তু আখ বিক্রি করেছি প্রায় পাঁচ মাস আগে কিন্তু এখনো আমরা আখের দাম পায়নি। আমরা আখ চাষ করে ব্যাপক ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি।
আখ চাষী জিল্লুর রহমান বলেন, চার পাঁচ মাস আগে সুগার মিলস এ আখ বিক্রয় করেছি কিন্তু এখনো মূল্য পাইনি ফলে সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। টাকার অভাবে আমারা এখন মানবেতর জীবন-যপন করছি। কৃষকরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দেশের খাদ্য উৎপাদন করে কিন্তু কৃষকদের উপর কোন অনিয়ম হলে কেউ দেখে না।
আখ চাষী মুক্তা ফকির বলেন, সুগার মিলস এর অব্যবস্থাপনার কারণে আখ চাষীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে আখ বিক্রয় করেছি কিন্তু এখনো মূল্য পাইনি এটি অত্যন্ত কষ্টের ও লজ্জার বিষয়। টাকার অভাবে আমার এখন অন্যান্য ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যা করতে পারছিনা। নলডাঙ্গা এলাকায় হতাশাগ্রস্থ কৃষকরা যাতে অতিদ্রুত তাদের বিক্রয়কৃত আখের মূল্য পায় সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।