শনিবার , নভেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখুন

আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখুন

নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমাদের সরকার দেশবাসীকে একটি উন্নত ও সুন্দর জীবন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নৌকায় ভোট দিয়ে দেশবাসী স্বাধীনতা পেয়েছিল। নৌকায় ভোটের কারণে আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ বিনামূল্যে জায়গাসহ ঘর পেয়েছে। জনগণ তাঁর দল আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় তাঁর সরকারের অধীনে দেশ আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগের প্রতি সবাইকে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে। 
বুধবার দারিদ্র্য বিমোচনে তাঁর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দেশের আরও ১২টি জেলা ও ১৩২টি উপজেলার চতুর্থ ধাপে আরও ২২ হাজার ১০১টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে জমিসহ নবনির্মিত স্বপ্নের নীড় স্থায়ী ঠিকানার বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন এবং ১২টি জেলার সব উপজেলাসহ মোট ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করে এসব কথা বলেন।
বাড়ি হস্তান্তরকালে উপকারভোগীদের মুখের বাঁধভাঙা হাসি দেখে প্রধানমন্ত্রী আবেগজড়িত কণ্ঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্যই জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই সঙ্গে আমার মাও। গৃহহীন মানুষগুলো ঘর পাবে, তারা সুন্দর জীবন পাবে, এটা আমার বাবার জীবনের স্বপ্ন ছিল। তিনি সব সময়ই বলতেন, আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে আর সেই জন্যই আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের একজন মানুষও অবহেলিত থাকবে না-বঙ্গবন্ধুর এ আকাক্সক্ষা পূরণে সরকার সবার জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিনটি গৃহনির্মাণ স্থল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, পাবনার বেড়া এবং খুলনার তেরখাদা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে আরও বলেন, আমি শুধু এটুকু বলব, আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন, একটানা সরকারে আছি বলেই আজ ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা, শতভাগ বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট উন্নত করা সব করে দিচ্ছি, করতে পারছি। এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই আজ আপনারা ঘর পেলেন, জীবন জীবিকার সুযোগ পেলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশিরভাগ সুবিধাভোগীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সুবিধাভোগীরা খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আওতাধীন বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার আওতাধীন চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। 
এ সময়ে শেখ হাসিনা ঘরের সুবিধাভোগীর স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে অন্ধ মহিলা লিলি বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। প্রধানমন্ত্রী পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার দৃষ্টিশক্তিহীন মহিলার চিকিৎসার যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। নতুন ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে দুই কাঠা করে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার, সেই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। কাজেই এসব জেলা-উপজেলাকে আমি আজ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উন্নত জেলা-উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করছি। জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। দেশে একটি মানুষও অবহেলিত থাকবে না-এটাই তাঁর আকাক্সক্ষা ছিল, আমরা তাঁর সেই আকাক্সক্ষাটাই পূরণ করছি। দেশের প্রত্যেকের জীবনমান আরও উন্নত হবে, জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। 
বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও ভয়াল অগ্নিসন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আমি জানি আমাদের একটি বিরোধী দল আছে, যারা মানুষ খুন করা, অগ্নিসন্ত্রাস, বাসে আগুন, রেলে আগুন দেওয়া এবং সাধারণ মানুষকে হত্যা করা-এ ধরনের কাজই করে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সমমনা দলগুলো দিনের পর দিন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। মানুষ ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। 
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা যখন জনগণের ভোট নিয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসি, সেই সময় এই বিএনপি-জামায়াত, যে সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, গুলি ছাড়া আর কিছুই বোঝে না, তারা সেভাবেই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, তিন হাজার ৮০০ মানুষকে তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। এর মধ্যে শত শত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। কাজেই মানুষের জন্য তাদের কোনো চিন্তা নেই। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা, অর্থ চোরাকারবারি- এ কাজগুলোই তারা করে গেছে এবং এখনো মানুষকে তারা জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যাতে আবার ভোট চুরি করতে না পারে সেজন্য আমরা একটি ডিজিটাল ভোটার তালিকা তৈরি করেছি। বিএনপি-জামায়াত চক্র জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি বরং লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে। সেই কায়েমি গোষ্ঠী (বিএনপি-জামায়াত) এখনো ব্যক্তি-স্বার্থ হাসিলে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে বন্দি করার চেষ্টা করছে যেটি তারা ২০১৩-১৪ সালে সেই সময়ের জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করার লক্ষ্যে শুরু করেছিল। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আর ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি স্থিতিশীল অবস্থা, সব বাধা অতিক্রম করে, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যদিকে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ এবং হতদরিদ্র ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছি। 
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ইনশাআল্লাহ এ দেশে আর কোনো হতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের জন্য অন্তত একটু জমি, ঘর এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি, করে দেব।

আমি শুধু এটুকু বলব, আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন, একটানা সরকারে আছি বলেই আজ ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষা, শতভাগ বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট উন্নত করা সব করে দিচ্ছি, করতে পারছি। এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই আজ আপনারা ঘর পেলেন, জীবন-জীবিকার সুযোগ পেলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় যারা ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই, এদেশের মানুষের প্রতি, যারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।
’৭৫ পরবর্তী ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। জিয়াউর রহমান যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, নিজেকে নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেন। খুনি মোস্তাক, বাংলাদেশের আরেক মীরজাফর আমার বাবার সঙ্গে বেইমানি করে তাকে হত্যা করে, তাকে সহায়তা করে জিয়াউর রহমান। পরে তাকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের বিচার হবে না, সেই আইন করে। বাংলাদেশের যে কোনো একজন নাগরিক বিচার পাবে, কিন্তু আমাদের সে অধিকার ছিল না। আমরা বিচার চাইতে পারতাম না।
এ পর্যন্ত ৩৩৪ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হলো। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭টি পরিবারকে ঘর দিয়ে জীবন-জীবিকার পথ করে দেওয়া হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জানান। বাংলাদেশের জনগণকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত রাখার সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সমাজের বিত্তশালীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের কেউ যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে তা নিশ্চিত করা এবং অনেক ধনী লোক সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে এগিয়ে আসতে পারে যাতে সমাজের কেউ অবহেলিত না থাকে।

প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে ৬৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে একটি আবাসন প্রকল্পে পুনর্বাসিত করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের দ্বিতীয় রাউন্ডের চতুর্থ ধাপে ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করার ফলে সারাদেশে ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হলো। আমি আজ ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করছি।
যারা জমিসহ বাড়ি পেয়েছেন তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব বাড়ি আপনাদের মর্যাদা বাড়াতে সাহায্য করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাদের জন্যে তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেসব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রচেষ্টা দেখে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। যারা বাড়ি পেয়েছেন তাদের বাড়ির ভেতরে এবং আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে এবং বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নতুন ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হলো : মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি। যে ১২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হলো : শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভুঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।
অন্য উপজেলাগুলো হলো : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও সদর; নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা; নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছী, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার ও সদর; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ; বগুড়ার গাবতলী, আদমদীঘি ও সদর; নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও সদর; পাবনার চাটমোহর, বেড়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর; ঝিনাইদহে ঝিনাইদহ সদর; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সদর; যশোরে যশোর সদর; কুষ্টিয়ার খোকসা; খুলনার দিঘলিয়া; নড়াইলের কালিয়া; পিরোজপুরে পিরোজপুর সদর; ঝালকাঠির ঝালকাঠি সদর; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা; বরগুনার পাথরঘাটা, বেতাগী, তালতলী; সিলেটের বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর ও শাল্লা এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা। 
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট সুবিধাভোগী পরিবারের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ জনে। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান চলাকালে, ঘর পাওয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরআগে প্রধানমন্ত্রী আরও নয়টি জেলা- মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭ পরিবারকে তাদের মালিকানায় দুই ডেসিমেল জমিসহ আধা-পাকা বাড়ি দিয়ে পুনর্বাসন করেছে। এসব বাড়িতে বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বিনামূল্যে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট আট লাখ ২৯ হাজার ৬০৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূর করা।

আরও দেখুন

বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ

নিউজ ডেস্ক,,,,,,,,, সাংস্কৃতিক কূটনীতির একটি প্রাণবন্ত প্রদর্শনে, ঢাকা-ভিত্তিক বিখ্যাত নৃত্য বিদ্যালয় ‘কল্পতরু’ র নয় সদস্যের …