নিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এখন যে বিষয়টি সবচেয়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি হলো- আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন। দেশে বলা হচ্ছে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কিন্তু এই শব্দগুলো দ্বারা আসলে কী বুঝানো হচ্ছে এবং কখন এমন ব্যবস্থা নিতে হবে তা অনেকের কাছে অজানা।
এগুলো মূলত কী বা এগুলোর মধ্যে কী পার্থক্য সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ভারতের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন ও হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা।’
জেনে নিন আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত।
আইসোলেশন: কারও শরীরে যদি করোনা ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হয় অর্থাৎ কারও যদি করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তবে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এসময় চিকিৎসক এবং নার্সদের তত্ত্বাবধানে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে থাকতে হবে। এর মেয়াদ ১৪ দিন। রোগীর অবস্থা দেখে বাড়ানো হয় মেয়াদ।
এসময়ের মধ্যে রোগীর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয় না সাধারণত। এসময়ের মধ্যে রোগীকে কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয় যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা অনেকেই এ পদ্ধতিতে সুস্থ হন আবার যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের পক্ষে সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যায়।
কোয়ারেন্টাইন: করোনা ভাইরাসের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরপরই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। তাই করোনা আক্রান্ত দেশ ঘুরে আসার পর বা আক্রান্ত রোগী সংস্পর্শে আসার পর হতে পারে সংক্রমণ। আসলেই কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত কি-না তা পরিষ্কার হতেই সময় লাগে সপ্তাহ খানেক। আর এজন্যই রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে।
অন্য রোগীদের কথা ভেবে এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয় না। এখানেও সময়সীমা ১৪ দিন। এসময় বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়, রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ করতে বলা হয়। মেনে চলতে হয় স্বাস্থ্যবিধি।
হোম কোয়ারেন্টাইন: কোনো ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সব নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের যোগাযোগ বন্ধ রাখেন সেটিই হোম কোয়ারেন্টাইন। সাধারণত, সম্প্রতি আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মেয়াদও ১৪ দিন। এটা মূলত করা হয় শরীরে কভিড-১৯ রোগ বাসা বেঁধেছে কি-না তা জানার জন্য।
এসময়ের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন খাবার খেতে হবে এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
সূত্র: আজকের বিজনেস বাংলাদেশ