নিউজ ডেস্ক:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার সহস্রাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো সিটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
গত সোমবার থেকে নগরীতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪ হাজার ২৬০ জন সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২২৯টি টিমে পুলিশ সদস্য ২ হাজার ৪৬০ জন, ১২ প্লাটুন বিজিবির ২৪০ জন সদস্য, র্যাবের ৩০টি টিমে ২৫০ জন, ১০৫ কেন্দ্রে ১ হাজার ২৬০ জন আনসার, এপিবিএন এর ৯টি গ্রুপে ৫০ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। এছাড়া নগরীর প্রবেশপথে থাকবে ৭৫টি চেকপোস্ট। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মাঠ তদারকিতে নিয়োজিত থাকবেন ছয় জন এডিসি ও ডিডিএলজি। ভোটের দিন কিংবা এর আগে-পরে সন্ত্রাসীরা যাতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য কুমিল্লা আদর্শ সদরের ৯০ জন ও সদর দক্ষিণের ২০ জনসহ ১১০ জন তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে পলিটিক্যাল ক্যাডার, অস্ত্রধারীসহ নানান অপরাধে অভিযুক্তরা এ তালিকায় রয়েছেন। সূত্র জানায়, ভোটের দিন কেন্দ্র দখলসহ কোনো সহিংস ঘটনা যাতে ঘটতে না পারে সেজন্যে কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স। তারা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যাবেন। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্দিষ্টসংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন সদস্য ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রের বাইরে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির টহল টিম, রিজার্ভ ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করবে। সব মিলিয়ে ভোটের দিনে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে ভোটকেন্দ্রসহ পুরো নগরী।