নিউজ ডেস্ক:
হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং, গবেষণা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে আইটি পার্ক, উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে গত শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম এবং আইটি পার্ক, উজবেকিস্তানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইব্রাগিমভ ফারখোদ যাইরোভিচ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা মাত্র চার বছরে উজবেকিস্তান কীভাবে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলো তা দেখতে ও জানতে তাশখন্দের ইনোভেশন সেন্টার পরিদর্শন করি। তখন তাশখন্দে উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল টেকনোলজি উপদেষ্টা অলিমজন ইমারাভ ও উদ্ভাবনী উন্নয়নমন্ত্রী ইব্রোখিম ওয়াই আবদুর আখমনভের সঙ্গে বৈঠককালে জানতে পারি তারা গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এবং ইতোমধ্যে তারা এক্ষেত্রে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগও পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই সমঝোতার মাধ্যমে আইটি পার্ক, উজবেকিস্তান বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে আইটি/আইটিইএস, হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সুবিধা, নীতি ও কৌশল উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে। বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত জিটুজি সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কাজ করবে আইটি পার্ক, উজবেকিস্তান। এছাড়া সমঝোতার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুদেশে গড়ে ওঠা স্টার্টআপ কালচার পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে এক সাথে কাজ করতে পারবে এবং উভয় দেশ ও প্রতিষ্ঠানের স্টার্টআপদের জন্য একটি যৌথ ফান্ডিং (তহবিল) প্লাটফর্ম গঠনের জন্যও প্রতিষ্ঠান দুটি একযোগে কাজ করবে। উভয় দেশের উদীয়মান স্টার্টআপদের জন্য প্রশিক্ষণ-ইনকিউবেশন-মেন্টরিং সুবিধা প্রদান করা হবে। এর আওতায় উদীয়মান প্রযুক্তিতে (যেমন: সাইবার সিকিউরিটি, এআই, ব্লকচেইন, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি) দক্ষতা বাড়ানোর জন্য যুবক-সরকারী কর্মকর্তা এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের জন্য যৌথ প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।