নিউজ ডেস্ক : অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই পদ্মা সেতু, ছেলেধরা ও ডেঙ্গু নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল। দুষ্টু রাজনৈতিক চক্রগুলো দেশ ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলে অবৈধ ও অনৈতিক লাভের আশায় এসব করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা মনে করছেন, দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সক্রিয় হয়েছে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পরাজিত কিছু অপশক্তি।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশে ছড়ানো হচ্ছে নানা গুজব ও মিথ্যাচার। দেশের বাইরে থেকে শুরু করলেও দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু রাজনৈতিক চক্র এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। আসলে দেশপ্রেমের অভাবের কারণে চক্রগুলো মিথ্যাচার করে জনজীবনকে বিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে। শুনেছি, লন্ডনে বসে বসে দেশের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছেন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার ইশারায় দেশের রাজনৈতিক চক্রগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে গুজবের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে যারা এধরণের মিথ্যাচার ও গুজবে লিপ্ত রয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
গুজবের বিষয়ে বিএনপির পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে চানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ কিছুটা ফুঁসে উঠেন। তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, বিএনপি গুজবের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা সত্য ও বাস্তব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করি।
পদ্মা সেতু নিয়ে ছড়ানো ছড়ানো গুজবে বিএনপি নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-একজনের অপকর্মের দায় পুরো বিএনপি নিবে না। ধানের ভেতর পাতান থাকতেই পারে। আমরা বিএনপি নেতাদের গুজব না ছড়ানোর বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও যদি কেউ গুজবে লিপ্ত হয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।