শুক্রবার , ডিসেম্বর ২৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধকেও পাওয়া যাবে ঋণ

অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধকেও পাওয়া যাবে ঋণ

নিউজ ডেস্ক:
আমানত, বন্ড, কৃষিপণ্য, মেধাস্বত্বসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখেও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বিধান রেখে ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন, ২০২২’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে আরও দুটি আইন ও একটি নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নতুন আইন। আমরা ব্যাংক থেকে যেসব লোন দিই, সেটার বিপরীতে একটা ইকুইটি দিতে হয়, স্থাবর সম্পত্তি কিংবা ক্যাপিটাল ইকুয়েপমেন্ট। এখানে অস্থাবর সম্পত্তিকে ইকুইটি হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। এখন থেকে অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতেও কেউ ঋণ নিতে পারবে। কারও যদি স্থায়ী আমানত থাকে সেটার বিপরীতেও, সেটাকে সিকিউরিটি রেখে অনুপাত অনুযায়ী ঋণ নিতে পারবে। কারও যদি বন্ড থাকে সেটা দিয়েও সে ঋণ নিতে পারবে। দামি গাড়ি, স্বর্ণ, মেধাস্বত্ব বন্ধক রেখেও ঋণ নেওয়া যাবে।’ এ ছাড়া খনিজ সম্পদ, কৃষিজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত মাছ ও জলজ প্রাণী, গবাদিপশু, রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী পণ্য প্রস্তুতের কাঁচামাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত, নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার সার্টিফিকেট, কোনো সেবার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে সেবাগ্রহীতার মূল্য পরিশোধের স্বীকৃতি বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খন্দকার আনোয়ার বলেন, এটা করার কারণ হলো মধ্যম ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বন্ধক দেওয়ার মতো স্থাবর সম্পত্তি নেই। তারা যেন তাদের অস্থাবর সম্পত্তি জমা দিয়ে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারেন। এটা বিনিয়োগের ভিত্তিটাকে অনেক বড় করবে। স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখেই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জালিয়াতি হয়, সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আপনি শিল্প স্থাপন করতে গেলে তো ব্যাংকের আলাদা ক্রাইটেরিয়া আছে। এটা মধ্যম ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেবে। ব্যাংকের মূল্যায়ন ব্যবস্থা আছে, সেটা যদি ফেয়ারলি করে, কেউ স্বর্ণ দিলে ব্যাংক সেটা চেক করে নেবে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে দেরি : পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ কেন পিছিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ ব্যাখ্যা দেন। পদ্মা সেতু কবে চালু হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু আমরা ওপেন করে দেব।’ তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আসলে তো পদ্মা সেতু শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি যে যদি সম্ভব হয়, দেখা যাক, আমি তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেও কথা বলব যে তিনি কী বলেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে কথাটি বলেছেন তার একটি লজিক হলো, রিসেন্টলি কিছু মালামাল আসতে সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এই মালামালগুলো মার্চ মাসে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন কিছুটা অনিশ্চয়তা চলে এসেছে। আমাদের টাইম আছে ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মালামাল আসবে। কিছু মালামাল আছে যেগুলো পৃথিবীতে একটা বা দুটো দেশই বানায়। এমনিতেও কভিডের জন্য আসতে দেরি হচ্ছিল, এখন যুদ্ধের কারণে দেরি হচ্ছে।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট হচ্ছে : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২২-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে। মূল বিষয় হলো চাকরিরত অবস্থায় একজন শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো সন্তান থাকলে, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু থাকলে ও তৃতীয় লিঙ্গের কোনো শিশু থাকলে তাদের লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে।

জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি : চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে ৫৬ লাখ লোককে দক্ষ করে গড়ে তুলতে জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি, ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় কর্মসংস্থান নীতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এখন যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আসছে ও আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে, ফলে আমাদের উৎপাদন, প্রযুক্তি ও শ্রমিকদের দক্ষতা, সেটার ব্যাপক পরিবর্তন করা দরকার। এ জন্য এটা আনা হয়েছে।

ইরান-মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি : বাংলাদেশের সঙ্গে ইরান ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ-সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে সইয়ের লক্ষ্যে দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ-সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে …