নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগের পথ সুগম করতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কাঠামো চুক্তি হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে এই ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট’ বা টিফা স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সরাসরি এবং অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে সেদেশের বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ডান টিহান চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। টিফা স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশে অষ্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে।
বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রসঙ্গ ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবা দেওয়া সহজ করা হয়েছে।
“বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার। অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।”
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় ৮০৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, একই সময়ে আমদানি করেছিল ৫৯৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। তবে কোভিড মহামারীর কারণে গত দুই বছরে দুই দেশের বাণিজ্য কিছুটা কমে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ডান টিহান বলেন, টিফা স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিকসহ বেশকিছু খাতকে ‘সম্ভাবনাময়’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
ভার্চুয়াল বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছাও জানান টিহান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া গত ২০০৩ সালে থেকে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়া এসব বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে।
ঢাকায় অষ্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) হাফিজুর রহমান, অষ্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার নার্ডিয়া সিম্পসন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।