নাজমুল হাসান, গুরুদাসপুর:
শতবছর বয়সী বাছেদ আলী ও ৯০ বছর বয়সী রুপজান বেওয়া। ভাগ্য বিড়ম্বিত বৃদ্ধ দম্পতি। যে বয়সে ছেলে-মেয়েসহ পরিবার-পরিজনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জীবনযাপনের কথা, সেই বয়সে এখনও লাঠি ভর দিয়ে হেটে স্থানীয় বাজারে আলোপাতা বিক্রি করেন তিনি। আর স্ত্রী অসুস্থতায় বিছানাগত। বাছেদ আলীর একসময় তাদের ঘর-বাড়ি জমি-জমা সবি ছিলো। এখনও আছে তবে সেগুলো ছেলে লিখে নিয়েছে। ছেলে দালান কোঠায় থাকলেও তাদের জায়গা হয়েছে হতদরিদ্র মেয়ের বাড়ির মাচাং ঘরে। সেখানেই শেষ জীবন কাটাবেন বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি।
কিছুদিন আগে ‘ছেলে থাকেন দালান কোঠায়, বাবা-মায়ের স্থান মাচাং ঘরে‘ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ নজরে আসে হাজেরা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম সাগরের। সংবাদটি দেখে তিনি ওই বৃদ্ধ দম্পতির পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি নিজে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে গিয়ে পৌছে দিয়েছেন, চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবান, নতুন পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি, ওরনা, তসবিহ, জায়নামাজ, মগ, হাটার জন্য লাঠিসহ দৈনন্দিন জীবনে চলতে যা যা প্রয়োজন প্রায় সব কিছুই তাদেরকে দিয়েছেন এবং শেষ জীবনে যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে সব সময় থাকবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। নতুন পোষাক ও উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি ওই বৃদ্ধ দম্পতি।
আমিরুল ইসলাম সাগর জানান, তিনি তার বাবা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের আদর্শে আদর্শিত। তার দেখানো পথেই তিনি চলছেন। তারা বাবা প্রতিটি সময় অসহায় হত দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াতেন। তিনি ওই বৃদ্ধ দম্পত্তির সংবাদ দেখার পরেই তার বাসায় উপহার সামগ্রী নিয়ে যান। এর আগেও তিনি অনেক মানুষের ছোট ছোট ইচ্ছা পূরণ করেছেন। কারণ সাধারণ অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে সব সময় চান তিনি।
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …