নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
শ্রীমতি সরকার বয়স সাতাত্তর বছর। কবিরাজের বাড়ির বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন পায়ের যন্ত্রণায়। কয়েকদিন আগে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে গেছে তার। এই বয়সে তাকে দেখা বা সেবা শশ্রুষার কেউ নেই। স্বামী অনিল সরকার মারা গেছেন ৩৫ বছর আগে। দুই ছেলে ছিল তার, তারাও ত্রিশ বছর আগে তাকে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়েছে। খোঁজ নেয়ার মতো কোন স্বজনও নেই তার। সারাদিন ভিক্ষা করে যা পান তাই দিয়ে কিছু একটা রান্না করে খান। থাকেন নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারের একটা ঝুপরিতে। বয়সের ভারে তেমন একটা চলা ফেরা করতে পারেন না। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার (৮সেপ্টেম্বর) শ্রীমতিকে দেখতে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। সেখানে অসহায় অসুস্থ বিধবা শ্রীমতি কে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেন তিনি।
শ্রীমতিকে বিধবা ভাতার বই প্রদানের সময় তার ভাঙ্গা পায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য নগদ এক হাজার টাকা প্রদান করেন ইসাহাক আলী। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমন ।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানান, এই কার্ডের মাধ্যমে শ্রীমতি মাসে ৫শ টাকা করে পাবেন। এছাড়াও এককালীন ৬ হাজার টাকা পাবেন তিনি।
এসময় তিনি বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান এসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে।