নিউজ ডেস্ক:
অর্থপাচারকারী ও ঋণখেলাপিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কানাডার সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার। গত ৭ সেপ্টেম্বর কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। অভিযুক্ত অর্থপাচারকারীদের কিভাবে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো যায় সে বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে গতকাল রবিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, চিহ্নিত অর্থপাচারকারীসহ বাংলাদেশের যারা এ বিষয়ে অভিযুক্ত ও যাদের বিরুদ্ধে আদালতে বিচারাধীন মামলা আছে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য হাইকমিশন কানাডার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। অবৈধভাবে টাকা পাচার করে কানাডায় বসবাসকারীদের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে কোনো ধরনের কনস্যুলার সেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হাইকমিশনার খলিলুর রহমান।
হাইকমিশন ওই বিবৃতি দিয়েছে মূলত হাইকমিশন ও হাইকমিশনারকে জড়িয়ে ওই দেশে অবস্থানরত একজন সংবাদকর্মীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির বিষয়ে। হাইকমিশন অভিযোগ করেছে, ওই সংবাদকর্মীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার নিচে মন্তব্য করেছেন এমন এক ব্যক্তি একজন ঋণখেলাপির পক্ষে তদবির করেছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১০২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি ওই বাংলাদেশির কানাডীয় পাসপোর্টে সাত দিনের মধ্যে ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ (বাংলাদেশে আসতে ভিসার প্রয়োজন নেই) স্টিকার দেওয়ার জন্য হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের কাছে তদবির এসেছিল। কিন্তু ওই তদবিরে সাড়া না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।