নিজস্ব প্রতিবেদক:
মালয়েশিয়া সরকার বিভিন্ন দেশের কর্মীদের বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চলতি মাস থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ার এ ঘোষণায় কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ৫ লাখের বেশি কর্মী দেশটিতে অবৈধভাবে কাজ করছেন। তারা এ ঘোষণায় বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে সবার আগে বৈধতা পাবেন যারা দেশটিতে করোনার শিকার ছিলেন, তারা। দেশটির কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর কর্মীদের বৈধ হওয়ায় সুবিধা তৈরি হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত কর
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এই বাজারে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেরও বিপুল পরিমাণ কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছেন। তাদের বৈধ করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফা চিঠি ও আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, করোনাকালীন দেশী-বিদেশী যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা ‘মাই ফিউচার জবস’ অনলাইনে নিয়োগ কর্তা কর্তৃক আবেদন করবেন। বিদেশী কর্মীদের ক্ষেত্রেও একইভাবে আবেদন করতে পারবেন। আর এ প্রক্রিয়া শুরু হবে নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই। এমনটাই ধারণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে করোনা মহামারীর কারণে অসংখ্য অভিবাসী কর্মী কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে কঠিন সময় পার করছেন। কর্তৃপক্ষ এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের বৈধতা দেয়ার ঘোষণায় অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে সরকার বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দালাল চক্রও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর দালালরা কর্মীদের বৈধ করার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে কর্তৃপক্ষ বৈধ হওয়ার কর্মসূচী স্থগিত করে দিয়েছিল। এবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য সরকার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার জন্য দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর দেশটিতে থাকা অবৈধ কর্মীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিষয়েও দুই মন্ত্রীর মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ও কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পেয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নত হলে আটকেপড়া কর্মীদের দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ দেবে। ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণসহ নানা বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের মধ্যে এই বৈঠক হয়। দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি বন্ধ থাকা ও করোনাকালে ছুটিতে আসা কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।