রবিবার , অক্টোবর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / অবশেষে খাবার খাইয়ে ম্যারাডোনা ভক্ত বাবুর শোক ভাঙ্গালো ক্রীড়া সংস্থা

অবশেষে খাবার খাইয়ে ম্যারাডোনা ভক্ত বাবুর শোক ভাঙ্গালো ক্রীড়া সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ভাত খাওয়া বন্ধ রেখে সাত দিনের শোক পালনকারী সেই ভক্ত রুহুল আমিন সরকার বাবুর শোক ভাঙ্গালেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিহারকোল বাজারে তার মুখে খাবার তুলে দিয়ে ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার তার এ শোক কর্মসূচীর ইতি টানালেন।

এদিকে শোক পালনের শেষ দিনে রুহুল আমিন সরকার বাবু ম্যারাডোনার আত্মার শান্তি কামনায় ভিক্ষুকদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমিদের ভোজনের আয়োজন করেন। ভোজনে স্থানীয় গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

এসময় ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ফুটবল তারকা ম্যারাডোনার মৃত্যুতে সাত দিন থেকে তিনি ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে শোক পালন করছেন এবং এ সময় শুধুমাত্র শুকনা খাবার খেয়ে জীবন ধারন করছেন । এ খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তার কাছে ছুটে আসেন এবং নিজের হাতে ভক্ত বাবুর মুখে খাবার তুলে তার শোক কর্মসূচী সমাপ্তি টানেন।

এ সময় রুহুল আমিন সরকার বাবু আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ম্যারাডোনা চিরদিন তার মতো ভক্তের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

স্থানীয় ফজলে রাব্বি বলেন, ম্যারাডোনার প্রতি নজির বিহিন ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাবুকে আর্জেন্টিনায় নিয়ে ম্যারাডোনা সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিতে এবং আগামীতে আর্জেন্টিনার অন্তত একটি ফুটবল ম্যাচ সরাসরি মাঠে বসে দেখার ব্যবস্থা করতে আর্জেন্টিনার সরকার ও রাষ্ট্রদুতের প্রতি অনুরোধ জানান।

ব্যতিক্রমী শোক পালনকারী ভক্ত রুহুল আমিন সরকার বাবু বাগাতিপাড়া উপজেলার বিহারকোল বাজারের ভাই বন্ধু মুদি দোকানের স্বত্তাধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা দেখে রুহুল আমিন সরকার বাবু ম্যারাডোনার ভক্ত হয়ে পড়েন। গত বুধবার তার প্রিয় ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে সেদিন থেকে ৭ দিনের শোক পালন করেন। এ সময়ে তিনি কালো ব্যাজ ধারন, তার মুদির দোকানে শোক পালনের ব্যানার, কালো পতাকা এবং আর্জেন্টিনার পাতাকা উত্তোলন করেন। একই সাথে সবার ওপরে বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকাও উত্তোলন করে রাখেন। এ ছাড়াও প্রত্যেক বিশ্বকাপের সময় দোকান থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙ্গানো, প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা ছাড়াও আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিনে তিনি দর্শকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করতেন।

আরও দেখুন

সিংড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের সিংড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (৬ …