নিজস্ব প্রতিবেদক:
অফিস চলাকালীন সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। কোনো কারণে কর্মরত অবস্থায় থাকলে টাস্কফোর্স ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানাতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালে ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। গতকাল পৃথক দুটি সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব ও ক্লিনিকগুলোতে স্পষ্টভাবে লাইসেন্স নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে টাস্কফোর্স। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। সভায় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব শিব্বির ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ফরিদ হোসেন মিঞা, যুগ্ম-সচিব সালমা তানজিয়া, যুগ্ম-সচিব সায়লা ফারজানাসহ অন্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকসমূহের সেবা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সমূহ সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু দিনের মধ্যেই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান ক্লিনিক থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে করার ব্যাপারে মতামত দেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান এমপি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।