শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / শিরোনাম / অন্তর্বর্তী কালীন সরকার, সংস্কার ও আমাদের প্রত্যাশা

অন্তর্বর্তী কালীন সরকার, সংস্কার ও আমাদের প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোঃ মাহমুদুল হাসান মুক্তাঃ  কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র শ্রমিক জনতার গণ বিপ্লবে পরিনত হয়ে সেই আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের এমন করুণ পরিণতি হবে সেই ধারণা সরকারের কেউই কখনও করতে পারেনি। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের এতই আত্মবিশ্বাস ছিলো যে তাদের সরকারের দাপটে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খড় কুটোর মতো উড়ে যাবে বলে তাদের ধারণা ছিল। গত পনের বছর ধরে সরকার পতনের এমন অনেক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছিল তারা। হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্রদের অনুরোধে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী কালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। যে সময় দেশের ভূমি অফিস থেকে শুরু করে শিক্ষা অফিস সেখান থেকে সচিবালয় প্রত্যেকটি দপ্তরে অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি অক্টোপাসের মত প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে রয়েছে। আবার রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারি চাকুরিজীবী এবং আমলা পর্যন্ত দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি আর দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক এই পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছে বাংলাদেশের জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এদেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে পা-ফাটা কৃষক পর্যন্ত বর্তমানে দেশের নানান ধরনের অনিয়ম ও অসংগতির সংস্কারের প্রত্যাশা করছে এই অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের কাছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

১/ এদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে এদেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাবে। বিচার বিভাগের উপর দূর থেকেও সরকারের কোন হস্তক্ষেপ চলবে না। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের সম্পূর্ণ প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে।

২/ প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করতে হবে। আমলারা নিরপেক্ষভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশ বাহিনীকে সরকারের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার না করে তাদেরকে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং জবাবদিহিতার সাথে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

৩/ নির্বাচন কমিশনকে আইনী কাঠামো দ্বারা এমন ভাবে গঠন করতে হবে, যাতে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পরে ভোটের ফলাফল পাল্টানোর চিন্তাও যেন তাদের মনের মধ্যে না আসে। জনগণের প্রদত্ত ভোটাধিকার ফলাফল যারা পাল্টানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা কার্যকর ভিত্তিতে গ্রহণ করার আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৪/ দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমনে নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও আমলাদের বিদেশে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনতে হবে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঘুষ,দুর্নীতি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরতে পরতে অক্টোপাসের মতো জরিয়ে আছে, যা আমরা কোনমতেই আলাদা করতে পারছি না। ঘুষ, দুর্নীতির মহাযজ্ঞ থেকে কোনমতেই যেনো আমরা বের হতে পারছি না। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের ভিত্তিতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

৫/ মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ও আমলারা নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করেন। তারা চেয়ারের দাপটে সাধারণ নাগরিকদের সাথে খারাপ ও অশোভন আচরণ করেন। (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে স্যার না বলার ঘটনা)। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আমলাদের সব সময় মনে রাখা উচিত তারা দেশের মালিক নন, তারা দেশের জনগণের টাকায় বেতনভুক্ত চাকুরিজীবি। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দেশের সাধারণ নাগরিকদের সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জনবান্ধব, জবাবদিহিতা পূর্ণ ও দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

৬/ নির্বাচনের সময় আসলে প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারদেরকে নানান ভাবে আশ্বাস দিয়ে তাদের বোকা বানিয়ে দেশের মালিক বানিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট নেয় এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর কোন জনপ্রতিনিধি জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে চায় না এবং জনগণও জনপ্রতিনিধির দাপটের কারণে তাঁর বরাদ্দের আয় ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার সাহস রাখেনা। স্থানীয় সরকারের (সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) প্রত্যেকটি দপ্তরের আয় ব্যয়ের হিসাব বিবরণী প্রতিমাসে জনসম্মুখে প্রকাশ করার আইনগত বাধ্যবাধকতার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭/ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে, যার সংস্কার ও নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি এর মত পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা নকল করে আবার ক্ষেত্র বিশেষে শিক্ষকরা নকল সরবরাহ করে অথবা পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক শিখিয়ে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়। (চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি বিএম পরীক্ষায় নকলের দায়ে ৪৩ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার এবং ১০ জন শিক্ষক পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি )। ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, স্বদেশ প্রেম ও কর্মমুখী শিক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্য শিক্ষা কমিশন গঠন করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। 

৮/ স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার ও পরিবর্তন আনতে হবে। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে সঠিক সেবা না দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে সেবা প্রদান করে। বর্তমানে অধিকাংশ ডাক্তারেরা সেবার মানসিকতা না নিয়ে ব্যবসার মানসিকতা নিয়ে রোগীদেরকে অযথা বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট করার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দিয়ে সেখান থেকে কমিশনের বিনিময়ে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেয়। ডাক্তারদেরকে নৈতিকতা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার জন্য নিজের মধ্যে বিবেক বোধ তৈরি করতে হবে এবং আইনি কাঠামো তৈরি করতে হবে।

৯/ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের বিধান রক্ষা করা বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা এখন অতীব জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১০/ গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

১১/ একজন ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত/মনোনীত হতে পারবে না আইনের এমন বিধান বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে হয়।

১২/ একজন ব্যক্তি দুই বারের বেশি মন্ত্রী নির্বাচিত/মনোনীত হতে পারবে না আইনের এমন বিধান বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি।

১৩/ একজন ব্যক্তি তিন বারের বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারবে না আইনের এমন বিধান বাধ্যতামূলক করা অতীব জরুরি।

১৪/ বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্র চিরতরে বিদায় করা উচিত। পরিবারতন্ত্র দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছে এবং সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে পরিবার তান্ত্রিক নেতারা তাদের স্বার্থে জিম্মি করছে। পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে জয়লাভ করবে বা সরকার গঠন করবে সেই দলের প্রধান সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না আইনের এমন বিধান বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে হয়।

১৫/ নির্বাচনের সময় সকল দলের নেতারা বা প্রার্থীরা একসাথে একই মঞ্চে জনসভা করবে এবং প্রার্থীরা একে অপরের সাথে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে আইনের এমন বিধান রাখা উচিত।

১৬/ একটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অপর একটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, নির্যাতন করতে পারবে না এবং দলীয় বা রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রামে বাধা সৃষ্টি করতে পারবেনা এমন আইন প্রণয়ন করতে হবে।

১৭/ সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক বাহিনীর কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরের পর রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেনা যা আইন দ্বারা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

১৮/ দলীয় মনোনয়ন ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিধান আইন দ্বারা বাধ্যতামূলক করা বর্তমান সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

১৯/একজন জনপ্রতিনিধি যাতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সেবার মানসিকতা নিয়ে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে সে জন্য মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা, ভোট কেনাবেচা বন্ধ করা এবং ভোটের সময় সাধারণ ভোটারদের আপ্যায়ন (স্টলে চা বিস্কুট খাওয়ানো) সম্পূর্ণরূপে আইনি কাঠামো দ্বারা বন্ধ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিকে প্রতি মাসে তার অনুকূলে বরাদ্দের আয় ব্যায়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয় তাঁরা শান্তি চায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল ছাত্র, শ্রমিক, জনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও কঠিন বিচার করতে হবে। আবার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সরকারি অফিস, থানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বী ব্যক্তির বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার মতো জঘন্য নেক্কারজনক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এই সমস্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত ও জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে এরকম জঘন্য নেক্কার জনক ঘটনা ঘটানোর আর কখনো কেউ সাহস পাবে না। প্রতিটি হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার করতে হবে। আশ্চর্য জনক ভাবে আরো দেখা যাচ্ছে ফুটপাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস সহ আরো অনেক দপ্তর ও অফিসে দখলদারিত্ব শুরু করে দিয়েছে একশ্রেণীর চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা। এমনকি তারা মসজিদ, গোরস্থান, মন্দির, শ্মশানঘাট পর্যন্ত নিজেদের দখলে নিতে জোর জবরদস্তি চালাচ্ছে। একদল স্বৈরাচার নির্যাতক এই অফিস ও দপ্তর গুলো থেকে চাঁদা তোলা বাদ দিয়ে পালিয়ে গেছে, আর এক দল নির্যাতক এসে পূর্বের তুলনায় বেশি স্বৈরাচারী ও চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। এদেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এই রাজনৈতিক দলগুলোর স্বৈরাচারী মনোভাব ও চাঁদাবাজির হাত থেকে চিরতরে মুক্তি চায়। সকল দপ্তরের এই চাঁদাবাজি পদ্ধতির পরিবর্তন চায়, সংস্কার চায়। মানুষ অবাধে তাঁর কাজকর্ম করবে কোথাও কাউকে কোন চাঁদা দিতে হবে না, যদি কেউ চাঁদা চায় বা অনৈতিক কিছুর জন্য জোর জবরদস্তি করে তাহলে তাকে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্মের আচার অনুষ্ঠানগুলো অবাধে পালন করতে চাই। আমরা এদেশের সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করি আমাদের এই দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী হয়ে সুখী, সমৃদ্ধশালী, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য থাকবে না কোন হানাহানি।

লেখকঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান (মুক্তা)

প্রভাষক, নলডাঙ্গা বিএম কলেজ, নাটোর। ও কাউন্সিলর, নলডাঙ্গা পৌরসভা, নাটোর।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …