নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়াঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীতে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগের ফলে বুধবার সকালে নদীর পানিতে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ মরে ভাসতে দেখেন নদীর তীরবর্তী বসবাসরত স্থানীয়রা। তারই প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমকর্মীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঘটনার মূল হোতা এক স্কুল শিক্ষক। তিনি উপজেলার চাঁদপুর বিএম কলেজ ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক ও রহিমানপুর এলাকার বাসিন্দা হারুনুর রশিদ। বিষয়টি অবগত হলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি উপজেলা মৎস অধিদপ্তরকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বুধবার সকালে নদীর পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভাসতে দেখার পর খবর আসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর কানে। সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে তারা। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালালে খুলতে থাকে ঘটনার জটলা।
আরও জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় শরিফুল ইসলামকে ডেকে নদীর মাছ শিকারের বুদ্ধি আঁটে স্কুল শিক্ষক হারুন। সেই কথামতো রহমিানপুর বাজারের আল-আমীন এগ্রো এন্টারপ্রাইজ থেকে ১০০টি গ্যাস ট্যাবলেট ক্রয় করেন শিক্ষক হারুন। এর পর শিক্ষক হারুন এর উপস্থিতিতে শরিফুল ইসলাম ১০০টি গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে দেয় রহিমানপুর বড়াল নদীর মল্লিকপুর ঘাট ঝিকরার দহে। এর পর রাত থেকে নদীর পানিতে ভাসতে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর সেই মাছ পরদিন বুধবার খুব সকাল থেকে ঠেলা জাল দিয়ে উঠিয়ে নেন শিক্ষক হারুন ও শরিফুল ইসলাম। কিন্তু কথায় আছে চুরি করলে চিহ্ন রেখে যায় চোর। সেই চিহ্ন হিসেবে নদীর পানিতে ভেসে থাকে চিংড়ি,পুটি, কাটা পাতাসিসহ বিভিন্ন দেশিও প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী।
বিষয়টি উপজেলার মৎস অধিদপ্তরকে অবহিত করলেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সরেজমিনে গিয়ে সত্যতার প্রমাণ পেলে সংবাদকর্মীকে টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান স্থানীয়রা।