নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ভারত। ফলে গত সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপার সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দেড় শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। গত ৩ দিনে আটকে থাকা পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই নষ্ট হতে চলেছে,বলছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন।
এদিকে ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ সরবরাহ করবে না এমন সিন্ধান্তে অটুট থাকলেও শুধু মাত্র গত রবিবারে টেন্ডার করা পেঁয়াজ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে তারা। এই অপেক্ষায় বুধবার সারাদিনেও পেঁয়াজ রপ্তানি করেনি ভারত। আদৌও তারা পেঁয়াজ রপ্তানি করবে কি না এনিয়ে সংকিত হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
এদিকে দেশে পেঁয়াজ প্রবেশ করছে এমন খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করছে। মঙ্গলবার যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৭ থেকে ৭০ টাকা। এখন ওই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এদিকে খুচরা বাজারে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি করা হয়েছে। গত সোমবার ভারতের হটকারি সিন্ধান্তে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সে দেশের সরকার। এতে করে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতি মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন গত বছরেও ভারত সরকার এমনি ভাবে হঠাৎ করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পত্র ভারত কাস্টমসে না পৌঁছানোর কারনেই পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। অনুমতি পত্র ভারত কাস্টমস পাওয়া মাত্র ওপারে আটকে থাকা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলি দেশে প্রবেশ করবে।
সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পেঁয়াজ উৎপাদনকারি জায়গা গুলোতে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং মুল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই দেশের বাজারে পেঁয়াজে দাম স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার