নিউজ ডেস্ক:
টানা প্রায় সাত দিন ছুটির কবলে ব্যাংকিং খাত। এ সময়ে অন্য দুষ্কৃতকারীদের মতো সাইবার দুষ্কৃতকারীরাও সক্রিয় থাকে। এমনি পরিস্থিতিতে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে মানি লন্ডারিং ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা গত বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে ব্যাংকগুলোর টানা ছুটির মধ্যে এটিএম কার্ড জালিয়াতি করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল হ্যাকাররা। সাধারণত, ব্যাংকগুলোর বন্ধের সময়েই এ সুযোগটি কাজে লাগায় সাইবার অপরাধীরা।
এ দিকে ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও অনলাইন ব্যাংকিং চালু থাকে। গ্রাহক কেনাকাটা করতে এক ব্যাংক থেকে অর্থ অন্য ব্যাংকে লেনদেন করে থাকে। বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পরিশোধে বিভিন্ন ধরনের কার্ড ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইন বা ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ বা আদায়, ইউটিলিটি বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে এক ব্যাংকের হিসেব থেকে অন্য ব্যাংকের হিসেবে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে। তবে কী পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করা যাবে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে তার ঝুঁকি ও গ্রাহকের লেনদেনের প্রোফাইল বিবেচনায় নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের সময় অন্যান্য খাতের অপরাধীদের মতো ব্যাংকিং খাতের সাইবার অপরাধীরা সক্রিয় থাকে। এ সময় ব্যাংকের শাখাগুলো বন্ধ থাকে। ফলে সশরীরে ব্যাংকের শাখায় কোনো লেনদেন হয়না। তবে, অনলাইনের লেনদেন হয়। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে গ্রাহকরা অনলাইনে কেনাকাটা করেন বেশি হারে। এ সময়ে অনলাইনে লেনদেনের সময় কোনো মানিলন্ডারিং না হয় সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে।
এটিএম বুথে পর্যাপ্ত অর্থ রাখার নির্দেশ : এ দিকে ঈদের টানা ছুটির সময় গ্রাহকের কেনাকাটা বেড়ে যায়। এ সময় গ্রাহকের নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় বেশি। ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনে এটিএম বুথগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়। ঈদের ছুটিতে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। একই সাথে এটিএম বুথগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।