সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুতের শাস্তি যাবজ্জীবন, সংসদে বিল

অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুতের শাস্তি যাবজ্জীবন, সংসদে বিল

নিউজ ডেস্ক:

নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রেখে একটি নতুন আইনের খসড়া জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কিছু অপরাধের বিচার মোবাইল কোর্টেও করা যাবে।

১৯৫৬ সালের ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট এবং ১৯৭৯ সালের ফুড গ্রেইনস সাপাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল একটিভিটি) অর্ডিন্যান্স বাতিল করে নতুন এই আইনটি করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, খাদ্যদ্রব্য বলতে যে কোনো প্রকার দানাদার দ্রব্য যথা-চাল, ধান, গম, আটা, ভুট্টা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল-২০২৩ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুতসংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ ম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

তবে এরূপ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্য ছাড়াই মজুত করেছিলেন তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন মাস কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য।

বিলে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি যদি পুরাতন খাদ্যদ্রব্য পলিশিং বা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রণ করে বা সরকার কর্তৃক খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রক্ষিত খাদ্যদ্রব্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরাতন বা বিতরণকৃত সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণগত বা গুণগত পরিবর্তন করে বা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি গুদামে সরবরাহ করে-তা হবে অপরাধ।

এর সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড। বিলের এই বিধান অনুযায়ী পলিশিং ও কাটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি মিনিকেট চাল বিক্রি ও সরবরাহ আইনগত অবৈধ হবে। বিলে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এরূপ চিহ্নযুক্ত সিল ব্যতীত সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, ক্রয় বা বিক্রয় করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর সাজা সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে, তা অপরাধ হবে। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।

বিলে বলা হয়, কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই রূপ জাতের উপজাত পণ্য হিসেবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করলে বা খাদ্যদ্রব্যের স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অপসারণ বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করলে সেটি অপরাধ হবে।

এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশ্রণ করে উৎপাদন ও বিপণন করলে সেটিও অপরাধ হবে। লাইসেন্স ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা চললেও তা অপরাধ হবে। আর এসব অপরাধের জন্য ২ বছর কারাদণ্ড অথবা অন্যুন ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হবে।

বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আদালত থাকবে। আদালত খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত নামে অভিহিত হবে। এই আইনের অধীনে কিছু অপরাধের বিচার মোবাইল কোর্টেও করা যাবে।

গ্রামীণ সড়কের ১ লাখ ৪১ হাজার কিমি. পাকা : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্তমানে সারা দেশে পাকা সড়কের দৈর্র্ঘ ১ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৯ কিলোমিটার এবং কাঁচা সড়কের দৈর্ঘ্য ২ লাখ ১২ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়। কাঁচা সড়ক পাকাকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে কাঁচা সড়কের গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে পাকা করা হচ্ছে।

ঢাকা শহরে জনসংখ্যা : হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের জনসংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখ। যার সবাই ঢাকা ওয়াসার পরিষেবা গ্রহণ করেছে। তবে মিটারভিত্তিক গ্রাহক তিন লাখ ৮৭ হাজার।

ঢাকায় দৈনিক পানির চাহিদা : একই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঋতুভেদে ঢাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২১০-২৬০ কোটি লিটার। যার পুরোটাই ঢাকা ওয়াসা সরবরাহ করে থাকে। ঢাকা ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদন সক্ষমতা ২৭৫-২৮০ কোটি লিটার।

সমবায় কৃষকদের খেলপি ঋণ : নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমবায় অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) বর্তমানে সারা দেশে সমবায় কৃষকদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪০ কোটি ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

নিবন্ধিত কোম্পানি ১২৪৭টি : মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত ১ হাজার ২৪৭টি কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানের আরও ৪ স্টেডিয়াম : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১০টি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে। এ ধরনের আরও ৪টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বেগম নাজমা আকতারের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী ও মানিকগঞ্জ জেলায় আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও দেখুন

নাটোরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১ আহত-৯

নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোর বগুড়া মহাসড়কের ডালসড়ক এলাকায় ৬টি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় হোসাইন নামের এক ট্রাক …