নিজস্ব প্রতিবেদক ,লালপুর :
আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর হানাদার মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালে এই দিনে পরাজিত পাক হানাদার বাহিনী লালপুর থেকে বিতাড়িত হয় । এই দিবসটি পালন উপলক্ষে লালপুরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর আলোচনা সভা ও কবিতাবৃত্তি আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল দুয়ারিয়া ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে পাকবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করে । ৩০ মার্চ ময়না সন্মুখ যুদ্ধে মুক্তি বাহিনী হানাদারদের ২৫ নং রেজিমেন্ট ধ্বংস করে দেয় । সেদিন প্রায় ৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৩২ জন আহত হয় । ১২ এপ্রিল ধানাইদহ ব্রিজের নিকট প্রতিরোধ যুদ্ধে ১০/১২ জন শহীদ হন । ৫ মে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস্ লিঃ এলাকা ঘেরাও করে প্রশাসক সহ দু’শ শ্রমিক. কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে চিনিকল এলাকার পুকুর পাড়ে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে । ২৯ মে খান সেনাদের একটি দল চংধুপইঁলের পয়তারপাড়া গ্রামে নদীর পাড়ে ধরে এনে ৫০ জনেরও অধিক নিরীহ লোককে গুলি করে হত্যা করেন। ২৫ জুলাই ২২ জনকে লালপুর নীলকুঠির নিকটে হত্যা করে এবং ২৬ জুলাই একই স্থানে চারজনকে হত্যা করে । ২০ জুলাই রামকৃষ্ণপুর গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও পাঁচজনকে হত্যা করে । ৩০ জুলাই বিলমাড়ীয়া হাট ঘেরাও করে বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করে ৫০ জনেরও অধিক লোককে হত্যা করে । ৩১ জুলাই বাথানবাড়ীতে ৬-৮ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা । ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাক বাহিনী ও রাজাকারদের সহায়তায় লালপুরের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিকান্ড, ও লুটতরাজ চালায় । ১৩ ডিসেম্বর খান সেনারা ঝটিকা আক্রমণ করে মহেশপুর গ্রামে ৩৬ জনকে গুলি করে পালিয়ে যায় । এর মাধ্যমে পাক হানাদার মুক্তি হয় লালপুর । এই দিবসটি পালন উপলক্ষে লালপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও সাংস্কৃতিক সংগঠণ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেন ।
আরও দেখুন
সোনালী ব্যাংক থেকে ছিনতাইকারী আটক করলেন আনসার সদস্যরা
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,,,,সোনালী ব্যাংকের বড়াইগ্রাম শাখা থেকে উত্তোলণকৃত গ্রাহকেরনগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় ছিনতাইকারীকে আটক করে …