বৃহস্পতিবার , অক্টোবর ১০ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / সিন্ডিকেটেই নাজেহাল বিএনপি, রাজপথে ফেরাটা বড় চ্যালেঞ্জ!

সিন্ডিকেটেই নাজেহাল বিএনপি, রাজপথে ফেরাটা বড় চ্যালেঞ্জ!

নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিজেদের দাবি মানাতে বাধ্য করতে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে চায় বিএনপি। তবে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, বিভক্তি ও অনাস্থার সংকট কাটিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে দলটি রাজপথে কবে নাগাদ নামতে পারবে, সেটি এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির জন্য।

তবে এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি। একাধিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও দলকে শক্তিশালী করতে তারেক রহমানের বিশেষ নির্দেশ পালনে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে তাদের এই তৎপরতা কতদিন থাকবে, সেটি নিয়েও সন্দেহ ও অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে নেতৃবৃন্দের মনে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা গেলে বিএনপি শক্তিশালী হতে পারে। কারণ স্বচ্ছতা ও অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবে বিএনপির নেতৃত্বে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাজনীতিতে শক্তিহীন দলে পরিণত হচ্ছে বিএনপি। এছাড়া বিএনপির বড় সমস্যা হলো সিন্ডিকেট বা বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা। তাই বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে জনপ্রিয়তা থাকার পরও বিএনপি রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না। তাই সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করতে দল পুনর্গঠনের কোনো বিকল্প নেই। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল- সকল পর্যায়ে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট। বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের কমিটির যেমন বেহাল অবস্থা তেমনই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিরও নাজুক অবস্থা। বর্তমানে এই কমিটির অবস্থা বড়ই নাজুক। এছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে দলটির সিদ্ধান্তহীনতার কারণে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় পড়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে দলের কয়েকজন প্রবীণ নেতা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন, ১৯ জন স্থায়ী কমিটির সদস্যের মধ্যে ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ৪ জন অসুস্থ। তার স্থলে মাত্র দু’জনকে নতুন করে স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির অবশিষ্ট পদ এবং ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা মণ্ডলীর শূন্যপদগুলো কেন দ্রুত পূরণ করা হচ্ছে না?

তারা বলেন, দলে অনেক যোগ্য ও ত্যাগী নেতা আছেন। তারা দলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সাথে সম্পৃক্ত। অথচ তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন না করায় অনেকে এখন অভিমানে অনেকটা চুপচাপ আছেন বা নিষ্ক্রিয়। অথচ তাদেরকে দলের যথাযথ পদে জায়গা করে দিলে দলের কর্মকাণ্ড অনেক গতিশীল হবে। নেতাকর্মীরাও তাদেরকে পাশে পেলে আরও উজ্জীবিত হবে।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …