নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় এসেছেন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। সিঁথি বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে দেশে এসেছেন- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লেও গুঞ্জন উঠেছে, বগুড়ায় জিয়াউর রহমান এবং ফেনীতে বেগম জিয়ার সম্পত্তির অংশে স্বামীর প্রাপ্য ভাগ নিতে দেশে এসেছেন শর্মিলা রহমান সিঁথি।
কিন্তু শর্মিলা সিঁথির এমন কর্মকাণ্ডে চটেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। মূলত তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় শর্মিলার উপর চরম নাখোশ হয়েছেন তিনি। এছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি বাদ দিয়ে অর্থ-সম্পদের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠায় শর্মিলাকে শায়েস্তা করতে লন্ডনে ডেকেছেন তারেক।
এদিকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএসএমএমইউতে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার প্রয়াত স্বামী কোকো’র বাবা-মা- এর সম্পদের প্রাপ্য ভাগ চেয়েছেন। ভাগ পেলে সম্পত্তি বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় ব্যাংকে বিনিয়োগ করার কথা শর্মিলা খালেদা জিয়াকে বললে, খালেদা জিয়া জেল থেকে মুক্তি পেলে কোকো’র সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ করে প্রাপ্য অংশ শর্মিলাকে বুঝিয়ে দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শর্মিলা এখনই সম্পত্তির ভাগ চান। কিন্তু খালেদা জিয়া শেষমেশ রাজি না হলে, শর্মিলা লন্ডন থেকে তার বড় মেয়ে জাফিয়া রহমানকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লন্ডনে বিএনপির সংস্কারপন্থী এক নেতা বলেন, শর্মিলার মতিগতি বোঝা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে তার মেয়ে জাফিয়া রহমানও ঢাকায় আসতে রাজি হয়েছেন। শর্মিলার মূল উদ্দেশ্য- নিজের কথায় কাজ না হওয়ায়, নাতনির কথা খালেদা জিয়া ফেলতে পারবে না। নাতনি জাফিয়াকে খালেদা জিয়া খুব ভালোবাসেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জাফিয়া রহমানের কথা রাজি হয়ে খালেদা জিয়া হয়তো এখনই কোকোর সম্পত্তির ভাগ শর্মিলাকে দিয়ে দিতে পারেন। এর জন্যই বাংলাদেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।