নীড় পাতা / আইন-আদালত / যাত্রীবেশে মহিষ ছিনতাই ও জাহাঙ্গীর হত্যারহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

যাত্রীবেশে মহিষ ছিনতাই ও জাহাঙ্গীর হত্যারহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনাঃ
মহিষ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যারহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পিবিআই, পাবনা। তারা বৃহস্পতিবার এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে। গত সোমবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সুগার মিলের কাছে রাস্তায় অজ্ঞাত হিসেবে এ মহিষ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল।

নিহত জাহাঙ্গীর, নাটোর সদর উপজেলার জয়নগর গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গ্রেপ্তার ৪ জন হলেন, রমজান, মিজানুর,আব্দুস শুকুর ও আকছেদ। ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৪ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এরা আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। এদের নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা শুধু দুটি মহিষ ছিনতাই করার জন্যই জাহাঙ্গীরকে পিটিয়ে ও হাত মুখ বেঁধে মেরে ফেলে। ওই সময়ে জাহাঙ্গীরের বাবা জান মোহাম্মদ ও ভাই সেলিমকে হাত-পা বেঁধে রাস্তায় ফেলে দেয়।

পিবিআই, পাবনা জেলার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়। মামলা দায়েরের পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ মামলার তদন্তভার পিবিআই, পাবনা জেলার উপর অর্পণ করেন। মামলাটির তদন্তের নির্দেশনা পেয়ে পিবিআইয়ের উপ- পরিদর্শক(এসআই) সামরুল হোসেনের ওপর তদন্তভার দেয়া হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) সামরুল হোসেন জানান, ৬ অক্টোবর (রোববার) জান মোহাম্মদ তার দুই ছেলে জাহাঙ্গীর ও সেলিমকে সাথে নিয়ে রাজশাহী জেলার সিটির হাট থেকে দুটি মহিষ কেনেন। এরপর তারা মহিষসহ নিজেরা বাড়ি আসার জন্য একটি ট্রাক ভাড়া করেন। ওই ট্রাকটি ছিল ছিনতাইকারী চক্রের। ছিনতাইকারী চক্রের ৮ জন মহিষ ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে।

তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) সামরুল হোসেন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আরো জানান, ওই রাতে (৬ অক্টোবর) মহিষের ট্রাক রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পার হওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছিনতাইকারীরা মহিষ মালিক তিন বাপ-বেটাকে হাত, পা ও মুখ বেধে মারপিট করে। হাত, পা, মুখ শক্ত করে বাঁধার কারণে ট্রাকের ভেতরেই জাহাঙ্গীর মারা যান। এরপর গভীর রাতে তারা ট্রাক নিয়ে নাটোর বনপাড়ার পাশে জান মোহাম্মদ ও তার এক ছেলে জাহাঙ্গীরকে হাত, পাঁ, মুখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দেয়। ভোর রাতে জাহাঙ্গীরকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সুগার মিলের পাশে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়। এরপর ছিনতাইকারীরা মহিষ দুটি নিয়ে ঢাকা জেলার বাথুলী নামক হাটে বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নিয়ে যে যার মত চলে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সামরুল হোসেন জানান, আসামিরা অত্যন্ত চালাক প্রকৃতির। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ডাকাতদের গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অনেক কৌশল অবলম্বন করে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান। মামলার স্বার্থেই বাকি আসামিদের নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

পিবিআই, পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত আসামিরা একটি বড় গ্যাংয়ের সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় গরু মহিষ ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে থাকে।

আরও দেখুন

নগরীর পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের জনপ্রতিনিধি ও  আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে রাসিক মেয়রের মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ২৪ জুন ২০২৪ দেশের চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে  রাজশাহী মহানগরীর পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল …