বুধবার , অক্টোবর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / বাল্যবিয়ে, মাদক, উত্যক্তের খবর দিলেই পুরস্কার!

বাল্যবিয়ে, মাদক, উত্যক্তের খবর দিলেই পুরস্কার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
পুরস্কার একটি প্রচলিত শব্দ। পুরস্কারের এই রেওয়াজ চলে আসছে আদি আমল থেকেই। তবে এবার এই পুরস্কারের একটু ভিন্ন রকম ব্যবহার দেখা গেল। না, প্রতিযোগিতায় জয়ী বা হারানো জিনিস ফেরত দেওয়ার পুরস্কার নয়। ‘বাল্যবিয়ে,মাদক বিক্রেতা আর উত্ত্যাক্তকারীদের’ খবর দিতে পারলেই দেওয়া হবে এই পুরস্কার।

খবর জানাতে ডায়াল করতে হবে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- ০১৩১৫১৭১৩৫৪, দরিদ্র সংস্থা-০১৭৫০-৩৩৩৯২৯ ও গুরুদাসপুর থানা-০১৭১৩৩৭৩৮৬০ নম্বরে।) মূলত অপরাধ প্রবণতা কমাতে আর মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতেই ‘দরিদ্র সংস্থার’ এই ব্যাক্তিক্রমি আয়োজন। শুধু যে পুরস্কার দেওয়া হবে এমন নয়। মাস শেষে সর্বোচ্চ খবরদাতাকে সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হবে শুভেচ্ছা স্মারক।

দরিদ্র সংস্থা সূত্র জানিয়েছে- বেসরকারি এই সংগঠনটি মানবতার কল্যাণে নিবেদিত। ‘মানবতার দেওয়াল’ কর্মসূচির পাশাপাশি নতুন এই কর্মসূচি সংগঠনের পক্ষ থেকে হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে করে সমাজের বালবিয়ে মাদকের বিস্তার আর উত্ত্যাক্তের হার কমবে। পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে ১০০ টাকার মোবাইল ফ্লেক্সি লোড।

খোঁজ নিয়ে জানাগেল- ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি প্রথমে মানবতার দেওয়াল নামের একটি কর্মসূচি চালু করে। ওই কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে প্রায় শতাধিক দুস্থ মানুষের হাতে পোশাক তুলে দেওয়া হয়। অল্পদিনে কর্মসূচিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এলাকার বিত্তবানরাও সংগঠনের পাশে দাঁড়ায়। তবে এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন। এলাকার অপরাধ প্রবণতা কমাতে এই ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে সংগঠনটি।

দরিদ্র সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হাসান নাহিদ জানালেন-‘মূলত দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করতেই দরিদ্র সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি জনকল্যাণমুখি উদ্যোগ নিয়ে সফলও হয়েছি আমরা। বর্তমান সমাজে বাল্যবিয়ে, মাদক আর উত্যাক্তের হার বেড়ে গেছে। আবার বাল্যবিয়ে নিয়ে একশ্রেণির অসাধু মানুষ বড়-কনে পক্ষকে ভয়-ভিতি দেখিয়ে বাণিজ্যও করছেন। অনেকের ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও ভয়ে এসব খবর দিতে পারছেন না। তাই খবরদাতার পরিচয় গোপন রাখা এবং পুরস্কার দেওয়ামতে ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছি। আশাকরি এই কর্মসূচির মধ্যমে এসব অপরাধ প্রবণতা কমানো সম্ভব হবে।’

সংস্থার সভাপতি প্রভাষক মো. মাজেম আলী জানান- ‘সমাজের কল্যাণে আমরা যে উদ্যোগ গ্রহন করেছি তা অব্যহত থাকবে’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন- এটা খুব ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ জানাই।

আরও দেখুন

নাটোরে পাশের হার ৭৮.৪২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৬৩

নিজস্ব প্রতিবেদক……. নাটোরে চলতি বছর ৮ হাজার ৯৯২ জন এইএচসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছে।১১ …