মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর
নিজের সৃজনশীল কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কর্মস্থলে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এলাকায় আইন শৃংখলার মানোন্নয়ন করে চলেছেন ইউএনও তমাল হোসেন। সাড়ে চারমাস আগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে আনতেও স্বক্ষম হয়েছেন। স্মার্টফোনে আসক্ত ৩ শতাধিক তরুণকে খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনেন তিনি। তাছাড়া উপজেলার নাজিরপুরে আমির আলী নামের এক সুপার মার্কেটের মালিককে ১০ বছর পর শিকলমুক্ত করাসহ ঋণে জর্জরিত হয়ে কিডনি বিক্রি করতে যাওয়া চাপিলার উম্মেহানি ও কিছু প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন এই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পর্কে ‘চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও ৭১’ উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সবার নজর কেড়েছেন ইউএনও তমাল হোসেন। ২০১৯ সালের ১১ই জুন তিনি গুরুদাসপুরে যোগদান করলে উপজেলার সকল সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে নজরদারি, দুস্থ্য ও প্রকৃত ভ‚মিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্টনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হতদরিদ্রদের প্রতি সুদৃষ্টি রেখে কাজ করনিজ কর্মগুনে আলোচিত গুরুদাসপুরের ইউএনও তমালছেন তিনি। বিশেষ করে ফসলী জমিতে পুকুর খনন করতে দিচ্ছেন না তিনি। এতে কতিপয় ভূমি দস্যু বা দালাল চক্র নাখোশ হলেও এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠি অনেক খুশি। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কর্মদক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার দৃশ্যপট। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার কার্যকরি পদক্ষেপগুলো গুরুত্বসহকারে প্রকাশ হয়েছে। বর্তমানে তিনি নদী থেকে অবৈধ সোঁতিজাল উচ্ছেদ এবং লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। মোটকথা যা কিছু ভালো এবং কল্যাণকর তার সাথেই আছেন ইউএনও তমাল হোসেন।
তবে কাবিখা ও কর্মসৃজন প্রকল্পে নজর রাখার পরামর্শ দিয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের লোকজন বলছেন- যোগ্য, সৎ ও সাহসী ইউএনও তমাল হোসেন দীর্ঘদিন তাঁর কর্মস্থল গুরুদাসপুরে থাকলে উপজেলার সার্বিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। সেই সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান তার প্রতিটি কর্মকান্ডে সহযোগিতা করে প্রশংসিত হচ্ছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সমাজ থেকে অনৈতিক কর্মকান্ড বিতাড়িত হবে।
উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, ইউএনও তমাল হোসেনের কারণে অনিয়ম, দূনীর্তি ও স্বজনপ্রীতি অনেকাংশে কমে গেছে। যেখানেই সমস্যা, সেখানেই ছুটে যান তিনি। বিশেষ করে বাল্যবিয়ের আয়োজকদের কাছে ইউএনও তমাল হোসেন যেন এক আতংকিত নাম। নিজগুনে তিনি এখন উপজেলার প্রিয় নির্বাহী অফিসার।
সরেজমিনে ইউএনও অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সর্বশ্রেণির মানুষ তাদের সমস্যার কথা সরাসরি ইউএনও’র কাছে বলতে পারছেন এবং ওই সকল মানুষের সমস্যার কথাশুনে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখা গেছে। তিনি উপজেলার প্রশানিক কর্মকান্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন
আরও দেখুন
সোনালী ব্যাংক থেকে ছিনতাইকারী আটক করলেন আনসার সদস্যরা
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,,,,সোনালী ব্যাংকের বড়াইগ্রাম শাখা থেকে উত্তোলণকৃত গ্রাহকেরনগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় ছিনতাইকারীকে আটক করে …