নীড় পাতা / আইন-আদালত / নাটোরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটি গঠনের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা

নাটোরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটি গঠনের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গঠণতন্ত্র লঙ্ঘন করে অবৈধ পন্থায় কমিটি গঠন করার অভিযোগ এনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নব গঠিত নাটোর জেলা কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নাটোর সদর সহকারী জজ আদালতে যৌথভাবে মামলাটি দায়ের করেন এডহক কমিটির সদস্য সচিব শিতাংশু ভট্টাচার্য সহ ৩ জন।

মামলায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রানাদাস গুপ্ত, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী ও নব গঠিত নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ ৭ জনকে বিবাদি করা হয়েছে। শুনানি শেষে বিচারক শংকর বিশ্বাস নব গঠিত কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবেনা তা ৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শনোর জন্য নতুন জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যতম সাক্ষী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাটোর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার ঘোষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নারদ বার্তাকে বলেন, অবৈধভাবে সাবজেক্ট কমিটি গঠন করে অধিকাংশের মতামত না নিয়ে তারা এই কমিটি গঠন করে যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এবং এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এইরকম একটি কমিটি যাকে অনেকেই পারিবারিক কমিটি বলে আখ্যায়িত করেছে। কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে চিত্তরঞ্জন সাহা নিজে তার স্ত্রী ভাই আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে।

নাটোর সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ চৌধুরী জানান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর গঠনতন্ত্রের কোন ধারাই অনুসরণ করা হয়নি এখানে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকার অতিথিদের ভুল বুঝিয়ে জোর করে একটি কমিটি গঠন করেছে। সাবজেক্ট কমিটির বৈঠক চলাকালীন সময়ে অধিকাংশ সদস্য তাদের সিদ্ধান্তের উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

তিনি নারদ বার্তাকে আরো জানান নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল নাটোর ছিলেন তার ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে যাতে তিনি উপস্থিত হতে না পারেন সেই সময়ে এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করা হলো। এর আগে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নাটোরে এসেছিলেন। সেই সময়ে সার্কিট হাউসে ঐক্য পরিষদের নেতাদের ডেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যথায় জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে দিলে আপনারা অপমানিত হবেন বলেও ঘোষণা দিয়ে যান। তার পরেও চিত্তরঞ্জন সাহা এক বছরের মধ্যে কোন সম্মেলন না ডেকে হঠাৎ করে তার নিজেদের লোক নিয়ে সম্মেলন করে জেলা কমিটি গঠন করেছে।

সিতাংশু ভট্টাচার্য্য বলেন, আমাদের অন্যতম অভিভাবক পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী বিদেশে থাকায় এই সুযোগ নিয়েছে চিত্তরঞ্জন সাহা। এ সকল অভিযোগের ব্যাপারে চিত্তরঞ্জন সাহা কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান সম্পূর্ণ গঠনতান্ত্রিক ভাবেই ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।পারিবারিক কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান আমার পরিবারের ত্যাগ আছে ও জনগণ চেয়েছে বলেই আমার পরিবার থেকে পাঁচজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। কেউ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে যায়নি, সবাই উপস্থিত ছিল বলে নারদ বার্তাকে জানান তিনি।

২০১৮ সালের মধ্যেই সম্মেলন করার জন্য যে নির্দেশনা ছিল সে ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি চাইনি, তাই সম্মেলন হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৬ বছর পর গত ১৮ অক্টোবর চিত্তরঞ্জন সাহাকে সভাপতি ও সুব্রত কর্মকারকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় জেলা কমিটি।

আরও দেখুন

নগরীর পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের জনপ্রতিনিধি ও  আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে রাসিক মেয়রের মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ২৪ জুন ২০২৪ দেশের চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে  রাজশাহী মহানগরীর পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল …