নীড় পাতা / জাতীয় / জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে যমুনা সেতুর ডাবল রেল লাইন নির্মাণ কাজ

জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে যমুনা সেতুর ডাবল রেল লাইন নির্মাণ কাজ

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আগামী বছরের জানুয়ারিতেই যমুনা নদীর ওপর ডাবল লাইনের বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের কাজ শুরু করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রকল্প গ্রহণের চার বছর পর এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের কোটি কোটি নাগরিকের দীর্ঘ অনেক বছরের প্রত্যাশা অবশেষে পূরণ করছে সরকার। সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হবে দ্রুতগামী রেল সুবিধা। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ২ প্যাকেজের মাধ্যমে সেতুটির পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তায় ও তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী জাপানের ঠিকাদার এ সেতুটি নির্মাণ করবে হবে।

সম্পূর্ণ স্টিলের তৈরি এ সেতুটি নির্মাণে সরকার বেশ জোরেশোরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্মাণের পর এটিই হবে বাংলাদেশের সর্ববৃহত রেলসেতু। একইসঙ্গে এটিই হবে প্রথম কোন রেলসেতু যেখানে ডাবল লাইনে দুটি ট্রেন এই রেলসেতু দিয়ে পাশপাশি চলতে পারবে। জানুয়ারিতেই যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। উল্লেখ্য, বর্তমানে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর একপাশে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে অতি কম গতিতে ট্রেন চলাচল করছে।

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। প্রকল্পে ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার রেলওয়ে এ্যাপ্রোচ নির্মাণ করা হবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। সূত্র জানায়, জাইকা প্রাথমিকভাবে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের পর গত সাড়ে তিন বছর সেতুটি নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা, সার্ভে সম্পন্ন করা ও পরামর্শক নিয়োগের জন্য সময় ব্যয় হয়। রেলসূত্র জানায়, সেতুটিকে শতভাগ কার্যকরী করতে রেলপথ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল রেললাইন নির্মাণ করবে। সেতুটি নির্মাণের পর উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর দূরত্ব কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করার জন্য এই ডাবল লাইন নির্মাণ করা হবে বলে রেলসূত্রে জানা গেছে।

রেলসূত্র জানায়, টেন্ডারে সহনশীল পর্যায়ের দর প্রদানকারী জাপানী কোম্পনিটি বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের কাজ করছে। ফলে তাদের জনবল, অবকাঠামো ও প্রশিক্ষিত লোকজন বাংলাদেশে রয়েছে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে তুলনামূলক কম হবে। অপরদিকে অন্য কোম্পানিটির সম্পূর্ণ নতুনভাবে জনবলসহ সকল প্রকার যন্ত্রপাতি আনতে হবে ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। তাই তারা ৩০ ভাগ বেশি ব্যয় নির্ধারণ করে টেন্ডার জমা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহত বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণের মূলকাজ আগামী বছরের জানুয়ারিতেই শুরু করা হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরুর সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে। যাতে জানুয়ারির প্রথমেই এটির মূল কাজ শুরু করা সম্ভব হয়। যমুনা নদীর ওপর ডাবল লাইনের এ রেলসেতুটি নির্মিত হবে শতভাগ স্টিল দিয়ে। ফলে এর স্থায়ীত্বও হবে সড়ক সেতুর চেয়ে অনেক বেশি। সেতুটিতে আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা সহ উন্নত বিশ্বের ন্যায় সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …