নিউজ ডেস্ক: ক্যাসিনো, জুয়াসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল প্রশাসন। সেই অবস্থান ধরে রাখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বিএনপি নেতা দ্বারা পরিচালিত জুয়ার আসর থেকে ১৩ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় নগদ ৪০ হাজার টাকা, তিনটি মোটরসাইকেল ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার রঘুনন্দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা মুন্সি আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ব্রিজপাড়ার আ. হালিম (৩৫), ইছাহক আলী (৩৪), আল-আমিন (৩৫), জামাল হোসেন (৩২), বাজারপাড়ার মুরাদ হোসেন (৪২), ওলিয়ার রহমান (৪০), নারায়রপুর গ্রামের লিটন (৩২), সোহাগ (২৮), জাহিদ (৩৮), দৌলৎগঞ্জ গ্রামের মানিক (৩০), প্রতাবপুর গ্রামের আলফাজ (৪০), পুরাতন লক্ষ্মীপুর গ্রামের আ. মান্নান (৪২) ও মহানগর উত্তর পাড়ার মিল্টন ড্রাইভার।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু রাসেল জানান, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের বাড়ির গরুর গোয়াল ঘর থেকে ওই ১৩ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। তবে মূল হোতা বিএনপি নেতা মুন্সি আবুল কাশেমকে আটক করা যায়নি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, আবুল কাশেম দীর্ঘদিন থেকে জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছিলেন। কয়েকবার তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। পরে আসরটি কিছুদিন বন্ধ থাকলেও নতুন করে চালু হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে জুয়াড়িদের গ্রেফতার করা হয়।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি দল শুক্রবার রাতে উপজেলার রঘুনন্দপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় ১৩ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, ৩টি মোটরসাইকেল ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আব্দুর গাফ্ফার জানান, এ জুয়া চক্রের মূল হোতা বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি আবুল কাশেম। অভিযানের সময় তিনি কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে।