রবিবার , সেপ্টেম্বর ৮ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গ্রামবাসির অর্থায়নে নির্মিত হোলাইগাড়ি সেতু বদলে দিয়েছে জীবনমান

গ্রামবাসির অর্থায়নে নির্মিত হোলাইগাড়ি সেতু বদলে দিয়েছে জীবনমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়াঃ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের হোলাইগাড়ী বাজারে নন্দকুজা নদীর উপর পারাপারের জন্য গ্রামবাসির অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে হোলাইগাড়ি সেতু। যে সেতু নির্মানে নির্মাণে পাল্টে গেছে এ অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবন যাত্রা। সেই সাথে যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্যে ঘটবে অদ্ভুতপূর্ন সাফল্য। কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে আসবে ব্যাপক অগ্রগতি।

ব্রীজটি নির্মাণে এ অঞ্চলের ১৫টি গ্রামের অবহেলিত প্রায় ৩০হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল। বর্তমানে বাঁশের সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার মানুষ। জাগরনী সংঘ ক্লাব থেকে গত ২ জুন যাতায়াতের ব্যবস্থা সচল রাখতে বাঁশের সেতুটি নির্মান করেছেন।

জানা গেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি’র প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে সেখানে ব্রীজ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এর আগে তিনি ঐ এলাকা পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণে প্রতিশ্রুতি দেন।

স্থানীয় চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, হোলাইগাড়ী বাজারে নন্দকুজা নদীতে ব্রীজটি হলে চামারী, হাতিয়ান্দাহ, নাজিরপুর, পুরুলিয়া ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সেতুই একমাত্র ভরসা। এ অঞ্চলের মানুষদের। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি’র প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তির করে অপেক্ষার প্রহর গুনছে হাজারো মানুষ। ব্রীজটি নির্মাণ হলে শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগসহ ব্যবসা বাণিজ্যে এ অঞ্চল ব্যাপক প্রসার লাভ করবে।

জাগরনী সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, এলাকার সবর্স্তরের মানুষের কথা বিবেচনা করে জাগরনী সংঘ ক্লাব থেকে প্রতি বছর ঘাটটি ১০-১৫ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়।

স্থানীয় শাহরিয়ার শুভ ও আলামিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বাঁশের সেতুতে পারাপারের জন্য জনপ্রতি ৫ টাকা করে ইজারাদারদের দিতে হয়। এভাবে পারাপারে গরীব মানুষরা হিমশিম খাচ্ছে। অনেক সময় টাকা না দেওয়ার কারনে ইজারাদার মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এখানে একটি পাকা ব্রীজ থাকলে কোন দূর্ভোগ পোহাতে হত না এলাকাবাসীর।

ইজারাদার কিতাব আলী বলেন, নদীর দণি ও উত্তর পার্শ্বে প্রায় ১৫টি গ্রাম রয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৩০ হাজার খেটে খাওয়া মানুষ উৎপাদিত ফসল নিয়ে বাঁশের ওই সেতুর ওপর দিয়ে আনা নেয়া করে।

এলাকাবাসী সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, নদীটির এ অংশে একটি পাকা ব্রীজ না হওয়ায় বাঁশের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করে । এজন্য এলাকাবাসির দাবি সেতুটি সরকারী অর্থায়নে নির্মিত হোক।

আরও দেখুন

রাণীনগরে মারপিটে আহত গৃহবধুর 

মৃত্যু নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর: নওগাঁর রাণীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র  করে মারপিটে আহত গৃহবধু রিজিনা বিবি …