রবিবার , সেপ্টেম্বর ৮ ২০২৪
নীড় পাতা / আবহাওয়া / কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

নিউজ ডেস্ক
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদী ভাঙ্গনে ৭০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ারখাতা, কড়াইবরিশাল, মনতোলা, শাখাহাতি, গাজীরপাড়া, ঢুষমারা অষ্টমীরচর ইউনিয়নের খোর্দ বাশপাতারী, নটারকান্দি, গয়নার পটল, মুদফাৎকালিকাপুর, ডাটিয়ারচর নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়ারচর, তেলীপাড়া, বজরাদিয়ারখাতা, খেরুয়ারচর, ফেইচকারচর, রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা,উত্তর রমনা, টোনগ্রাম, ডাটিয়া পাড়া, মাঝিপাড়া থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী কাজলডাঙ্গা, পুটিমারী, হাটিথানা, রাজারভিটা, কাঁচকোল, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মজারটারী, ফকিরেরহাট, নয়াবস, কালিরকুড়া প্লাবিত হয়ে এসব এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। পানি দ্রুত বৃদ্ধির ফলে, কোন বাড়িতে কোমর পানি এবং বসত ঘরে হাটু পানি হওয়ায় লোকজন চৌকি উঁচু করে রাত্রীযাপনসহ রান্না বান্না করছে। প্লাবিত এলাকার গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। কেউ কেউ বাধের রাস্তা, আশ্রায়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উচু স্থানে অবস্থান করছে। স্রোতের তোড়ে অনেকের পাটের জাগ ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে গেছে। পুকুরের পাড় ডুবে গিয়ে নদীতে মাছ ভেসে গেছে। পুটিমারী এলাকার আনোয়ার (৪৫) জানান, গত রাতে ৩শ পাটের বোঝার জাগ নদীতে ভেসে যায়।

কাঁচকোল এলাকার আব্দুল মজিদ (৫৩) জানান, বসত ঘরে হাটু পানি হওয়ায় পরিবারের মহিলা ও শিশুরা কষ্ট করে উচু চৌকিতে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে পুরুষরা পাউবো বাধে অবস্থান করছে। চর মুদাফৎকালিকাপুর ও কালিকাপুর এলাকায় নদীভাঙ্গনের ফলে ৭০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙ্গনের শিকার আব্দুল আলিম (৩৫) জানান, ভাঙ্গনের তীব্রতা এত বেশি ঘর সরানোর সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

আনোয়ার হোসেন (৫৫) জানান, নদী গর্ভে বসতবাড়িসহ সব বিলিন হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি। বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন দ্রুত বাড়ি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তালেব ফকির জানান, নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের সাহায্যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৯ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

আরও দেখুন

ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের অপসারণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক,নলডাঙ্গা:হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অন্যায় অবিচারের অভিযোগ করে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল …